Sat. Jun 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

10খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার,১২জানুয়ারি ২০১৬: বাংলাদেশে জাময়াতে ইসলামী শেষ পর্যন্ত নাম পরিবর্তন করে টিকে থাকবে আর নেতৃত্বে আসবে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম। তারা ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে, ত্যাগ করবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের।
মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের তিনজন নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তারা হলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জান। এছাড়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডও বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আর জামাতের সাবেক আমির ও ‘থিংক ট্যাংক গোলাম আযম আজীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারেই মারা গেছেন। আজীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসে সাঈদী। ওদিকে জামায়াতের আরেক নায়েবে আমির আবদুস সুবহান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলি ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলামের ফাঁসির দণ্ড এ মুহূর্তে আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।
এমন অবস্থায় জামায়াতের এখন আর কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাদের তৎপরতা এখন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বা ‘প্রেসরিলিজ-এ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের নামে এ সব সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হলেও, তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায় না। পাওয়া যায় না টেলিফোনেও। দেশের বাইরে থাকা মধ্যম বা তৃতীয় সারির কোনো নেতাও মোবাইল ফোন খোলা রাখেন না।
শুধু তাই-ই নয়, তাদের কর্মসূচিও এখন নামকাওয়াস্তে। প্রথমদিকে জামায়াত নেতাদের শাস্তির পর জামায়াত-শিবির যে সহিংস প্রতিবাদ করেছে, এখন আর তা নেই। জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা হরতালে কোনো সাড়া মেলেনি। এমনকি হরতালে জামাত-শিবিরের কোনো নেতা-কর্মীকেও দেখা যায়নি মাঠে।
এই পরিস্থিতি ব্যখ্যা করতে গিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তারেক শামসুর রেহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, নির্বাচন কমিশনে দল হিসেবে এখন আর জামায়াতের নিবন্ধন নেই। সরকারের যে মনোভাব, তাতে হয়ত এ বছরের মধ্যেই জামায়াত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে বলে মনে হচ্ছে আমার।
জামায়াতে ইসলামী নামের এই দলটি বাংলাদেশে আর থাকবে না। তবে দলের অনুসারীরা থাকবেন এবং তারা নতুন নামে দল গঠন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন। তাঁর কথায়, সেই দলটি ২০১৯ সালের নির্বাচনেও অংশ নেবে। তারা কীভাবে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. তারেক বলেন, সেই প্রক্রিয়া কেমন হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আমার জানা তথ্য মতে, নতুন নেতৃত্বের জন্য জামায়াতের তরুণরা কাজ করছেন। জামায়াতের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে জানতে কারাগারের বাইরে থাকা কেন্দ্রীয় নেতা তো দূরের কথা, জামায়াতের জেলা পর্যায়েরও কোনো নেতাকে পাওয়া যায়নি।