খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬: চাহিদা অনুযায়ী অর্থের সংস্থান না থাকায় নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারছে না অনেক মন্ত্রণালয়। কিছু মন্ত্রণালয়ের হাতে আবার অনেক বেশি বরাদ্দ থাকলেও তা কাজে আসছে না। এতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত অননুমোদিত প্রকল্পে বরাদ্দ দিতে পারছে না পরিকল্পনা কমিশন। অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য রাখা ‘থোক’ বরাদ্দ যথাযথভাবে কাজে না লাগানোর কারণেই এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। মূলত এ বরাদ্দ খাতভিত্তিক না হয়ে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। কমিশনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে চলতি অর্থবছরে বড় অঙ্কের থোক বরাদ্দ গলার কাঁটা হয়ে পড়েছে।
এডিপিতে প্রতি অর্থবছরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ‘থোক’ আকারে অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার বিপরীতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনের জন্য এ ধরনের বরাদ্দ রাখে। ‘থোক’ থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য কমিশনে পাঠায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা বা বিভাগ। এরপর তা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।
চলতি অর্থবছরে এডিপিতে ৫৪ মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে অননুমোদিত প্রকল্পে ‘থোক’ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা এখনও কোনো প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়গুলো, অর্থাৎ এ পরিমাণ অর্থ অব্যবহৃত রয়েছে। ১৮ মন্ত্রণালয়ের জন্য বিপুল এ অর্থের বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ অবশিষ্ট ৩৬ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদা থাকার পরও নতুন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ মিলছে না। ফলে নিয়ম অনুযায়ী অর্থায়নের নিশ্চয়তা না থাকায় কমিশন অনেক মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিভাগের নতুন প্রকল্প নিয়মিত ফেরত পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছর পর্যন্ত খাতভিত্তিক ‘থোক’ বরাদ্দ দেওয়া হতো। তখন যে কোনো সময় চাহিদা অনুযায়ী নতুন প্রকল্পে বরাদ্দ দিতে পারত কমিশন। তবে ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) আওতায় মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়। এতে করে এক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ অব্যবহৃত থাকলেও তা অন্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়ার সুযোগ থাকে না কমিশনের।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক থোক বরাদ্দের কারণে নতুন অননুমোদিত প্রকল্প গ্রহণে সমস্যা তৈরি হওয়ার বিষয়টি তারও নজরে এসেছে। এটি ভিন্নভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, যেসব প্রকল্পে অর্থ সংকট রয়েছে, সেগুলোতে আপদকালীন ‘থোক’ খাত থেকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সংশোধিত এডিপিতে ‘থোক’ বরাদ্দ পুনর্বিন্যাস করা হলে তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।
মূলত অর্থায়ন সংকট মোকাবেলায় অর্থ মন্ত্রণালয় ‘থোক’ ব্যবস্থা চালু করে। তবে তা ঠিকভাবে অনুসরণ না করায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। থোকের অর্থ নির্দিষ্ট কোনো মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ না দিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে রাখলে চাহিদা মাফিক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এতে উন্নয়ন কার্যক্রমে আরও গতি ফিরে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নতুন প্রকল্প না থাকায় ‘থোক’ থেকে বরাদ্দ খরচ করতে পারছে না এমন মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ১৮। এর মধ্যে গৃহায়ন ও গর্ণপূর্তের জন্য ৭৬৫ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৪১৬ কোটি, বিদ্যুৎ বিভাগে ৩৬২ কোটি, স্থানীয় সরকার বিভাগে ২৮০ কোটি, ডাক ও টেলিযোগাযোগে ২১৭ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ২৩৯ কোটি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে ১৪২ কোটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৮৭ কোটি, জনপ্রশাসনে ৯৫ কোটি এবং পানিসম্পদের জন্য ৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধ পেরিয়ে গেলেও এসব অর্থ ব্যবহার করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো। অন্যদিকে বরাদ্দ না থাকায় নতুন প্রকল্প গ্রহণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাকি ৩৬টির মধ্যে বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন খালিদ সমকালকে বলেন, নতুন প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় ‘থোক’ খাতে কিছু টাকা এখনও রয়েছে। তবে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচি ও অফিস অটোমেশনের বড় দুটি প্রকল্প অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। এ দুটি প্রকল্প অনুমোদন পেলে বরাদ্দের পুরোটাই ব্যবহার হয়ে যাবে। তখন অবশিষ্ট থাকবে না।
এ দিকে পরিকল্পনা কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমটিবিএফের আওতায় বাজেট প্রস্তুতের আগে পরিকল্পনা কমিশনে খাতভিত্তিক এ থোক বরাদ্দ রাখা হতো। বর্তমানে অননুমোদিত প্রকল্পের ‘থোক’ বরাদ্দ মন্ত্রণালয়ভিত্তিক দেওয়া হচ্ছে। এতে একই খাতভুক্ত এক মন্ত্রণালয়ের ‘থোক’ থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে চাহিদা থাকার পরও বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয় না। এ জন্য অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য ‘থোক’ বরাদ্দের পদ্ধতি বা নীতিতে পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে আগের মতো খাতভিত্তিক বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে চাহিদা মাফিক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে অননুমোদিত নতুন প্রকল্পে অর্থ দেওয়া সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এডিপিতে প্রতি অর্থবছরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ‘থোক’ আকারে অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার বিপরীতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনের জন্য এ ধরনের বরাদ্দ রাখে। ‘থোক’ থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য কমিশনে পাঠায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা বা বিভাগ। এরপর তা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।
চলতি অর্থবছরে এডিপিতে ৫৪ মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে অননুমোদিত প্রকল্পে ‘থোক’ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা এখনও কোনো প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়গুলো, অর্থাৎ এ পরিমাণ অর্থ অব্যবহৃত রয়েছে। ১৮ মন্ত্রণালয়ের জন্য বিপুল এ অর্থের বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ অবশিষ্ট ৩৬ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদা থাকার পরও নতুন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ মিলছে না। ফলে নিয়ম অনুযায়ী অর্থায়নের নিশ্চয়তা না থাকায় কমিশন অনেক মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিভাগের নতুন প্রকল্প নিয়মিত ফেরত পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছর পর্যন্ত খাতভিত্তিক ‘থোক’ বরাদ্দ দেওয়া হতো। তখন যে কোনো সময় চাহিদা অনুযায়ী নতুন প্রকল্পে বরাদ্দ দিতে পারত কমিশন। তবে ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) আওতায় মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়। এতে করে এক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ অব্যবহৃত থাকলেও তা অন্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়ার সুযোগ থাকে না কমিশনের।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক থোক বরাদ্দের কারণে নতুন অননুমোদিত প্রকল্প গ্রহণে সমস্যা তৈরি হওয়ার বিষয়টি তারও নজরে এসেছে। এটি ভিন্নভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, যেসব প্রকল্পে অর্থ সংকট রয়েছে, সেগুলোতে আপদকালীন ‘থোক’ খাত থেকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সংশোধিত এডিপিতে ‘থোক’ বরাদ্দ পুনর্বিন্যাস করা হলে তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।
মূলত অর্থায়ন সংকট মোকাবেলায় অর্থ মন্ত্রণালয় ‘থোক’ ব্যবস্থা চালু করে। তবে তা ঠিকভাবে অনুসরণ না করায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। থোকের অর্থ নির্দিষ্ট কোনো মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ না দিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে রাখলে চাহিদা মাফিক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এতে উন্নয়ন কার্যক্রমে আরও গতি ফিরে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নতুন প্রকল্প না থাকায় ‘থোক’ থেকে বরাদ্দ খরচ করতে পারছে না এমন মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ১৮। এর মধ্যে গৃহায়ন ও গর্ণপূর্তের জন্য ৭৬৫ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৪১৬ কোটি, বিদ্যুৎ বিভাগে ৩৬২ কোটি, স্থানীয় সরকার বিভাগে ২৮০ কোটি, ডাক ও টেলিযোগাযোগে ২১৭ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ২৩৯ কোটি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে ১৪২ কোটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৮৭ কোটি, জনপ্রশাসনে ৯৫ কোটি এবং পানিসম্পদের জন্য ৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধ পেরিয়ে গেলেও এসব অর্থ ব্যবহার করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো। অন্যদিকে বরাদ্দ না থাকায় নতুন প্রকল্প গ্রহণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাকি ৩৬টির মধ্যে বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন খালিদ সমকালকে বলেন, নতুন প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় ‘থোক’ খাতে কিছু টাকা এখনও রয়েছে। তবে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচি ও অফিস অটোমেশনের বড় দুটি প্রকল্প অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। এ দুটি প্রকল্প অনুমোদন পেলে বরাদ্দের পুরোটাই ব্যবহার হয়ে যাবে। তখন অবশিষ্ট থাকবে না।
এ দিকে পরিকল্পনা কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমটিবিএফের আওতায় বাজেট প্রস্তুতের আগে পরিকল্পনা কমিশনে খাতভিত্তিক এ থোক বরাদ্দ রাখা হতো। বর্তমানে অননুমোদিত প্রকল্পের ‘থোক’ বরাদ্দ মন্ত্রণালয়ভিত্তিক দেওয়া হচ্ছে। এতে একই খাতভুক্ত এক মন্ত্রণালয়ের ‘থোক’ থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে চাহিদা থাকার পরও বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয় না। এ জন্য অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য ‘থোক’ বরাদ্দের পদ্ধতি বা নীতিতে পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে আগের মতো খাতভিত্তিক বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে চাহিদা মাফিক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে অননুমোদিত নতুন প্রকল্পে অর্থ দেওয়া সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।