খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬:সুদহার কমানোর পরও বিক্রি বাড়ছে সঞ্চয়পত্রের। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে এ খাতে ভর্তুকির পরিবর্তে এখন বড় অঙ্কের আয় আসছে সরকারের। এমন প্রেক্ষাপটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নিচ্ছে, পরিশোধ করছে তার চেয়ে বেশি। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণ কমেছে ৩ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে সরকারের ঋণ ছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয় সরকার। এক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্র বিক্রি এবং ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়। চলতি অর্থবছর ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। অবশ্য গতবারও সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে বেশি অর্থ আসায় অর্থবছর শেষে ব্যাংকে ঋণ কমে ৬ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।
গত অর্থবছর সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সরকার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে করা হয় ২১ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র থেকে নিট ২৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা পায় সরকার। এবার এ খাত থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসেই নিট ১১ হাজার ৩২৬ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। আগের অর্থবছরে একই সময়ে যা ১১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা ছিল। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রে গড়ে ২ শতাংশ হারে সুদহার কমানোর পরও এবার বিক্রি বেশি হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা।
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি আনিস এ খান বলেন, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লেও এবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অত্যন্ত ধীরগতি রয়েছে। একই সময়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে প্রচুর অর্থ পাচ্ছে সরকার। আবার জ্বালানি তেলসহ বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য কমায় আগের মতো সরকারকে আর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না। এতে করে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ চাহিদা কম রয়েছে। তিনি জানান, সাধারণভাবে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত তারল্য সরকারকে ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে। তবে এখন সরকারের আগের মতো ঋণ প্রয়োজন না হওয়ায় ব্যাংকগুলো কলমানিতে খাটানোর চেষ্টা করছে।
নির্দিষ্ট একটি সময় থেকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত নেওয়া ঋণ নিট ঋণ হিসেবে বিবেচিত। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে সরকারের মোট ঋণ কমে এক লাখ ১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। ছয় মাস আগে গত জুন শেষে যা এক লাখ ৫ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা ছিল। এ হিসাবে ছয় মাসে সরকারের নিট ঋণ কমেছে ৩ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে সরকারের মোট ঋণের মধ্যে ৯৩ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে। বাকি ৮ হাজার ১৭৯ টাকা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যেও অর্থবছর শেষে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বর্তমানের মতো ঋণাত্মক ধারায় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয় সরকার। এক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্র বিক্রি এবং ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়। চলতি অর্থবছর ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। অবশ্য গতবারও সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে বেশি অর্থ আসায় অর্থবছর শেষে ব্যাংকে ঋণ কমে ৬ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।
গত অর্থবছর সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সরকার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে করা হয় ২১ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র থেকে নিট ২৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা পায় সরকার। এবার এ খাত থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসেই নিট ১১ হাজার ৩২৬ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। আগের অর্থবছরে একই সময়ে যা ১১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা ছিল। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রে গড়ে ২ শতাংশ হারে সুদহার কমানোর পরও এবার বিক্রি বেশি হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা।
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি আনিস এ খান বলেন, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লেও এবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অত্যন্ত ধীরগতি রয়েছে। একই সময়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে প্রচুর অর্থ পাচ্ছে সরকার। আবার জ্বালানি তেলসহ বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য কমায় আগের মতো সরকারকে আর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না। এতে করে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ চাহিদা কম রয়েছে। তিনি জানান, সাধারণভাবে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত তারল্য সরকারকে ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে। তবে এখন সরকারের আগের মতো ঋণ প্রয়োজন না হওয়ায় ব্যাংকগুলো কলমানিতে খাটানোর চেষ্টা করছে।
নির্দিষ্ট একটি সময় থেকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত নেওয়া ঋণ নিট ঋণ হিসেবে বিবেচিত। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে সরকারের মোট ঋণ কমে এক লাখ ১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। ছয় মাস আগে গত জুন শেষে যা এক লাখ ৫ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা ছিল। এ হিসাবে ছয় মাসে সরকারের নিট ঋণ কমেছে ৩ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে সরকারের মোট ঋণের মধ্যে ৯৩ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে। বাকি ৮ হাজার ১৭৯ টাকা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যেও অর্থবছর শেষে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বর্তমানের মতো ঋণাত্মক ধারায় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।