খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬: ইঁৎশরহধভধংড়-২পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর একটি হোটেলে ‘জঙ্গিদের’ হামলার ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে দেশটির রাজধানীর ওউয়াগাদোউগু হোটেলে এ হামলা হয় বলে রয়টার্স জানায়।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও পশ্চিমা বিশ্বের নাগরিকরা হোটলটি বেশি ব্যবহার করে। হামলার লক্ষ্যও তারা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বন্দুকধারীরা প্রথমে হোটেলের বাইরে দুটি গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এরপর তিন-চারজন হামলাকারী হোটেলের ভেতরে ঢুকে গুলি চালায় ও অনেককে জিম্মি করে।
মানচিত্রে বুরকিনা ফাসো মানচিত্রে বুরকিনা ফাসো
ওউয়াগাদোউগু ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের পরিচালক রবার্ট সানগারে বিবিসিকে জানিয়েছেন, বন্দুকধারীদের বোমা ও গুলিতে অন্তত ২০ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।
“আমরা অন্তত ১৫ জন আহতকে পেয়েছি। এদের কারও কারও গায়ে গুলির চিহ্ন আছে। কেউ কেউ আবার জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়েছিলেন।”
সানগারে জানান, আহতদের মধ্যে একজন ইউরোপীয় নারী আছেন। যিনি জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ‘সাদা চামড়া’র লোকদের ‘টার্গেট’ করছে।
জঙ্গি তৎপরতা নজরদারি গ্রুপ সাইট জানিয়েছে, আল কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাগরেব হামলার দায় স্বীকার করেছে। এরা জঙ্গি নেতা মুখতার বেল-মুখতারের অনুসারী হতে পারে বলে বিবিসি ধারণা করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিতদের বরাতে বিবিসির ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধার করতে স্থানীয় সময় রাত ১টার পর থেকে অভিযান শুরু করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিছুক্ষণ পরপর সেখানে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিতরা হোটেলের সামনে থেকে আহতদের সরিয়ে নিয়েছে।
. .
হোটেলে অবস্থানকারী নাগরিকদের বাঁচাতে দেশটির ফরাসি দূতাবাসও তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফরাসি কর্তৃপক্ষের সাহায্যের আবেদনে তারা তাৎক্ষণিকভাবে ‘গোয়েন্দা নজরদারি ও পরিদর্শন’ কাজ শুরু করেছেন।
তবে হোটেলটিতে জঙ্গি দমন অভিযানে দেশটিতে অবস্থান করা ফ্রান্স সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাহায্য ‘এখনও চাওয়া হয়নি’ বলে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বুরকিনা ফাসোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলফা বারি।
গত কয়েকবছরে পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে মালির এক হোটেলে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়।