খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ : দল বদল থেকে এবার জোট বদল করতে যাচ্ছেন বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তার জোট বাংলাদেশ জাতীয় ঐক্য (বিএনএ)-এর সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগিরিই ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটে যোগ দিতে প্রস্তাব দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত-সমালোচিত। তার নেতৃত্বাধীন জোট বিএনএ যোগ দিচ্ছে ১৪ দলীয় জোটে, সম্প্রতি ১৪ দলের সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমন ইঙ্গিত দেন। এরপর থেকেই বিএনএ জোটের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ১৪ দলে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন শুরু।
এ বিষয়ে একান্ত সাক্ষাতকারে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, ১৪ দলে যোগ দিতে এরমধ্যেই আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছি। আমরা বসতে চাই এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা ১৪ দলের কাছে প্রস্তাব পেশ করতে পারি।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের। সমালোচনা করেছেন বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের। এ বিষয়ে নাজমুল হুদা বলেন, দেশে যে উন্নয়ন কর্মকান্ড হচ্ছে তা দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনার নিশ্চয় গণতন্ত্রের পরিপš’ী কোনো চিন্তাধারা তার মধ্যে নেই। সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত কথাবার্তা বা দাবিগুলো এসেছে, তা সঠিক প্রেক্ষাপটে সঠিকভাবে উত্থাপিত হয়নি। জোর করে আদায় করে নেওয়া এবং দাবির মধ্যে বিরাট কিছু করা সে অবরোধের মতো ধ্বংসাত্বক কার্যক্রম করে সরকারকে বাধ্য করা ভুল পদক্ষেপ। এ সব পদক্ষেপ-সিদ্ধান্ত কোনো রাজনৈতিক সমাধান দিতে পারে না।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জল কম ঘোলা করেননি বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। বিএনপির প্রথম স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রীসভার তথ্যমন্ত্রী থাকার সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা দিয়ে মন্ত্রীত্ব হারান নাজমুল হুদা।
দলীয় শৃঙ্খখলা ভাঙ্গার অভিযোগে ২০১০ সালে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। অনুতপ্ত হয়ে আবেদন করার পর ২০১১ সালে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পেলেও ২০১২ সালের ৬ জুন বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘ ৩৫ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। ২০১৫ এর জানুয়ারীতে ২৫টি নামসর্বস্ব দল নিয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ জাতীয় ঐক্য (বিএনএ)। বিএনপি সরকারের দুই মেয়াদে তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।-চ্যানেল আই অনলাইন।