খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ : প্রস্তাব দুই লাখ ডলারের। প্রস্তাব জুয়াড়িদের। প্রস্তাব নোভাক জকোভিচের কাছে। সরাসরি নয়। জকোভিচের সাথে কাজ করেন এমন কারো মাধ্যমে। কি করতে হবে? ম্যাচ পাতাতে হবে। ইচ্ছে করে হেরে যেতে হবে। প্রবল ঘৃণায় প্রস্তাবটা মুহূর্তে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সার্বিয়ান টেনিস খেলোয়াড়।
এতদিন অপ্রকাশিত ছিল বিষয়টি। কিন্তু বিশ্ব যখন উত্তাল টেনিসে ম্যাচ পাতানোর খবরে, জকোভিচ তখন বিষয়টা আর নিজের মধ্যে রাখেননি। জানিয়ে দিয়েছেন মিডিয়ায়। বিবিসি ও বাজফিডের প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, তাদের কাছে টেনিসে ম্যাচ গড়াপেটার বিষয়ে প্রমাণ আছে। গত এক দশকে র্যাংকিংয়ের ৫০ এর মধ্যে থাকা ১৬ খেলোয়াড় অভিযুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে বেটিং সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থেকে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ আছে। চূড়ান্তভাবে তা প্রমাণিত না। খেলোয়াড়দের নামও প্রকাশ করা হয়নি। তদন্তে পাওয়া তথ্য উপাত্ত চেপে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু টেনিস কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, কোনোকিছু ধামাচাপা দেওয়া হয়নি। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম দিনে এই খবরটাই ঝড় তুলেছে। আর প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জেতার পর জকোভিচ দিয়েছেন তার কাছে আসা ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাবের খবরটা। ২০০৭ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ ইচ্ছে করে হেরে যেতে বলা হয়েছিল তাকে। “প্রস্তাবটা আমি সরাসরি পাইনি। ওই সময় আমার সাথে কাজ করা লোকের মাধ্যমে পেয়েছিলাম।”
মেলবোর্নে সাংবাদিকদের কাছে ১০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জকোভিচ বলেছেন, “অবশ্যই আমরা এটা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তারা আমাকে পায়ওনি। যে লোকটি আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছিল সে সরাসরি যোগাযোগই করতে পারেনি। কিছুই হয়নি।” “দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই সময়ে এসবের কিছু গুজব ছিল, কথা হতো। গত ছয় সাত বছরে এ রকম কিছু আর শুনিনি। আমাকে কখনোই সরাসরি প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আর কিছু আমার বলার নেই-” জানিয়েছেন জকোভিচ। তিনি মনে করেন, ম্যাচ গড়াপেটা জাতীয় কাজ অপরাধ। অন্য কারো জন্য এটা সুযোগ হলেও জকোভিচের কাছে ছিল অখেলোয়াড়সুলভ, অপরাধ।