খোলা বাজার২৪,শনিবার,২৩ জানুয়ারি ২০১৬: মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চালু করার নামে প্রতারণা করে ২ হাজার ৫’শ এজেন্টেদের কাছ থেকে প্রাইম ব্যাংক জামানত নেয় ৩০ কোটি টাকা।বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক জানার পরে প্রাইম ব্যাংককে এই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় ২০১৪ সালের ২৭ আগস্টে।
আজ পর্যন্ত ২৫০০ এজেন্টেদের কাছে থেকে নেয় ৩০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগের ব্যাপারে আহমেদ কামাল খান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা বলেননি।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(সিইও) বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়।টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাশাপাশি বিধি অনুযায়ী এজেন্ট কর্তৃক টাকা আত্মসাতের দায় প্রাইম ব্যাংক এড়াতে পারে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ বিষয়ে খোলাবাজার২৪কে বলেন,তবে জামানতের টাকা প্রাইম ব্যাংককে ফেরত দিতেই হবে। নইলে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু সর্বশেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী ব্যাংকটি এখনো টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
গত ২০১৪ সালের ৬ আগস্ট প্রাইম ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার অনুমোদন বাতিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা যায়, ‘ইজি ক্যাশ’ নামে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালুর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে লাইসেন্স নেয় প্রাইম ব্যাংক। পরে এ সেবা বাস্তবায়ন করতে সলিউশন প্রোভাইডার এসএমজি ইনফোকম লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি প্রাইম ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দিয়ে মোটা অংকের জামানত নিয়ে প্রায় দুই হাজার ৫০০ এজেন্ট নিয়োগ করে। ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত হিসেবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা নেয় প্রাইম ব্যাংক।
এরপর উধাও হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বিপাকে পড়ে আড়াই হাজার এজেন্ট।
এসকোল এজেন্ট এর লোকজন প্রাইম ব্যাংকের কাছে গেলে তারা দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এ অবস্থায় প্রাইম ব্যাংককে এসএমজি ইনফোকম লিমিটেডের এজেন্টদের অর্থ ফেরত দেয়ার নির্দেশদেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে প্রাইম ব্যাংক এর দায় অস্বীকার করে।
এসব কারণে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস নীতিমালার ৭ ধারার এক দশমিক অনুচ্ছেদ অনুসারে সেবার অনুমোদন বাতিল করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।