খোলা বাজার২৪, শনিবার ,২৩ জানুয়ারি ২০১৬ : শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি আর সঙ্গীত পিপাসু মানুষ চোখের জলে মেশানো ভালোবাসায় শেষ বিদায় দিলেন তাদের প্রিয় সুরকার খন্দকার নূরুল আলমকে। আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য রাখা হলে সেখানে যান শিল্প-সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে যাদের অনেকেই অশ্র“ ধরে রাখতে পারেননি।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এই আয়োজনে অন্যদের মধ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত পরিষদ, বহ্নিশিখা, বাংলার মুখ প্রভৃতি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রয়াত সুরকারের জন্য সেখানে একটি শোক বইও খোলা হয়। চোখ যে মনের কথা বলে, এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে, এত সুখ সইব কেমন করে, আমি চাঁদকে বলেছি আলো দিও- এমন অনেক জনপ্রিয় গানের সুরস্রষ্টা ও গায়ক খন্দকার নূরুল আলম শুক্রবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল খন্দকার নূরুল আলমকে।
তিনি নিউমোনিয়া ও ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্সে ভুগছিলেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আজ শিল্পীরা প্রথম থেকেই জনপ্রিয় হতে চায়, টাকার পেছনে ছোটে। কিন্তু খন্দকার নূরুল আলম ছিলেন ব্যতিক্রম। এ থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এই সুরকারের ছেলে আবির খন্দকার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। গত শতকের ষাটের দশক থেকে গানে গানে সুর বেঁধে আসা খন্দকার নূরুল আলম বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের একজন সংগীত পরিচালক হিসেবেই বেশি পরিচিতি। অন্তরঙ্গ, যে আগুনে পুড়ি, ওরা এগারো জন, দেবদাস, চন্দ্রনাথ, শাস্তি, বিরাজ বৌ, শঙ্খনীল কারাগারসহ ২৬টিরও বেশি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। এ দেশের চলচ্চিত্রে প্লে ব্যাকে আসা অনেক শিল্পীই নূরুল আলমের সুর কণ্ঠে নিয়ে বিখ্যাত হয়েছেন।