Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ : দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু হাইকোর্টে রিট করেছেন।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চের তালিকায় তা শুনানির জন্য রয়েছে।
দুদকের কৌসুঁলি খুরশীদ আলম খান বিলেন, “সম্পদের হিসাব বিরবণী চেয়ে ইকবাল বানুকে দুদক নোটিস দিয়েছিল। তিনি নোটিসের জবাবও দেননি কিংবা সময়ও চাননি। সম্পদের বিবরণী না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে একটি এজাহার হয়।
“এরপর ওই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এই অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছেন তিনি।”
রিটে আগের নোটিস বাতিল করে নতুন নোটিস দেওয়ার নির্দেশনার পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও বাতিল চাওয়া হয়েছে বলে দুদকের এই আইনজীবী জানান।
গত মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধ অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সাত্তার সরকার।
সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিস জারির পর নির্দিষ্ট সময়ে কমিশনে হিসাব না দেওয়ায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক আর কে মজুমদার ঢাকার রমনা থানায় ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার জন্য ইকবাল মান্দ বানুকে নোটিস দেয় দুদক। এরপর হাই কোর্টে রিট আবেদন করে স্থগিতাদেশ পান সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের স্ত্রী ইকবাল মান্দ বানু।
দুদক আপিলে গেলে হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত হয়। এরপর ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং তদন্ত শেষে ১৪ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দেয় দুদক।
এর আগে ২০০৭ সালের ২৯ মে ইকবাল মান্দ বানুর জামাতা তারেক রহমানকেও সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলেছিল দুদক।
পরে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে ওই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।
ওই মামলার অনুসন্ধান চলাকালে ইকবাল মান্দ বানুর নামে-বেনামে ‘বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য পেয়ে’ তার সম্পদের হিসাব চেয়ে আলাদা নোটিস পাঠায় দুদক।
অপরাধ প্রমাণিত হলে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী তারেকের শাশুড়ির তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড হতে পারে।