খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ : সরকারের বিরুদ্ধে বারবরই আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়া ‘দিকহীন’ বিএনপির ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হতে যাচ্ছে আগামী মার্চে। এ কাউন্সিলে চেয়ারপারসন হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবে দলের বর্তমান চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচিত হচ্ছেন-এ কথা প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা গেলেও দলের মহাসচিব কে হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন।
দলের মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার দৌঁড়ে সবার আগে এগিয়ে রয়েছেন দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২০১১ সালে বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এ সময়ের মধ্যে মোট ৭বার কারাবরণ করতে হয়েছে দলটির এ ‘পরিক্ষিত’ নেতাকে। দলের ভেতরে ও বাহিরে রয়েছে তার অনেক সুনাম। দলের তৃণমূলেও তিনি অধিক জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিত।
অনেকেই বলছেন, বর্তমানে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরই জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মির্জা ফখরুল। এছাড়াও কূটনীতিক, বিএনপি বিটের সাংবাদিকদের কাছেও মির্জা ফখরুল অনেক প্রিয় হয়ে উঠেছেন।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহাসচিব নির্বাচিত করতে দল প্রধান বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের সেকেন্ড কমান্ড খ্যাত তারেক রহমানের সবুজ সংকেত আছে বলে জানা যায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মির্জা ফখরুল ইসলামই হচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব।
এ বিষয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনা প্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কে মহাসচিব হচ্ছেন এটা কাউন্সিলেই দেখা যাবে। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ৪/৫ বছর ধরে দলের হাল ধরে আছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে মহাসচিব হওয়ার দৌঁড়ে তিনিই এগিয়ে।’
মির্জা ফখরুলের পরেই মহাসচিব হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম তরিকুল ইসলাম। এরপর যথাক্রমে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও রয়েছেন আলোচনায়। তবে সবকিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাবে কাউন্সিলের সময়ই।