Tue. Aug 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

24খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : পাকিস্তানকে ২১২ রানে অল আউট করে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে লঙ্কানদের তাতে জয়ের সম্ভাবনা জাগে। কিন্তু পাকিস্তানি বোলাররা শুরুতে আঘাত হানেন। আবার সেই আঘাত সামলে ওঠে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। মাঝপথে পাকিস্তানের হামলায় আবার পথ হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ৪৬.৪ ওভারে ১৮৯ রানে অল আউট হয়ে লঙ্কানরা হারে ২৩ রানে। এই ম্যাচ দিয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হলো।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে গেলো সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। আর শ্রীলঙ্কা হলো গ্রুপ রানার্স আপ। ৭ ফেব্র“য়ারি কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে শ্রীলঙ্কা। আর ৮ ফেব্র“য়ারি শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
ব্যাট হাতে ম্যাচ সর্বোচ্চ রান করা হাসান মহসিন নতুন বলের বোলার। নিজের প্রথম ওভারেই এই পেসার উইকেট তুলে নিলেন। আরেক ওপেনারকে শিকার করছেন কিছুক্ষণ পর। তিনি দুই ওপেনারকে ফেরানোর পর ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
কামিন্দু মেন্ডিসের ৬৮ রানে প্রতিরোধ গড়ে লঙ্কানরা। ওয়ানিদু হাসারাঙ্গাও ৪৬ রান করেন। মেন্ডিস ও হাসারাঙ্গা ৮৪ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ১৪৭ রানে তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর জয়ের পথে থাকতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। রেগ স্পিনার শাবাদ খান ৩ ও বাঁ হাতি স্পিনার আহমেদ শফিক ২টি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট পেয়েছেন মহসিন ও সামিন গুল। অল রাউন্ড পারফরম্যান্সে মহসিন ম্যাচের সেরা।
টস জিতে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তই নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু একজন সিমারকে দুই ওভার বল করিয়েই থামিয়ে দিতে হয়। স্পিনাররা তারপর চমৎকার বোলিংয়ে পাকিস্তানকে আগ্রাসী হতে দেয়নি। তাদের নিখুত বোলিং পুরোটা সময় প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছে। লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা খুব টার্ন পাননি। কিন্তু উইকেট টু উইকেট বল করেছেন। বৈচিত্র ছিল। তাতে ১০ ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
কামিন্দু মেন্ডিস বাঁ হাতি স্পিন ও ডান হাতি অফ স্পিন করেছেন। দুই বাঁ হাতি স্পিনার থিলান নিমেশ ও দামিথা সিলভাও চমৎকার বল করেছেন। দুজনেই দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন। রানও আটকেছেন। পাকিস্তানের শীর্ষ ৬ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেছেন। এর মধ্যে অল রাউন্ডার হাসান মহসিনের ৮৬ বলের ৮৬ রানই সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান সালমান ফাইয়াজের। মূলত মহসিনের ব্যাটেই দুশো পেরিয়েছে পাকিস্তান। ৪৯তম ওভারে আউট হয়েছেন মহসিন।