খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : তাইওয়ানে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত বহুতল ভবনে উদ্ধারকাজ চলছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া বিপন্ন মানুষগুলোকে উদ্ধারে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছে উদ্ধারকর্মীরা।
গতকাল শনিবার ভোরে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের তাইনান শহরে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় ১৬ তলা ভবনসহ আরও কয়েকটি বহুতলভবন। আজ রোববার সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে পৌঁছেছে।
নিহত ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন ধসের সময় ১৬ তলা ভবনের ভেতরে মারা যায়। তাদের মধ্যে ১০ দিনের একটি মেয়েশিশুওরয়েছে। নিহতদের মধ্যে আরও দুজন শিশু আছে। বিধ্বস্ত ভবনের বাসিন্দাদের স্বজনেরা চোখে জল নিয়ে অপেক্ষার প্রহরগুনছেন।
তাইনানের মেয়র উইলিয়াম লাই ভোরে বলেন, তারা ধারণা করছেন ভবনের ধ্বংসস্তূপে প্রায় ১৩২ জন বাসিন্দা আটকা আছে। তাদের মধ্যে ১০৩ জন অনেক গভীরে চাপা পড়েছে। তাদের উদ্ধার করে আনা খুবই কঠিন।
লাই আরও বলেন, ভবনের কিছু অংশ দুমড়েমুচড়ে পাশের দুটি টাওয়ারের নিচে পড়েছে। সেখানে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পে বহুতল ভবন ও এর আশপাশের ভবনের কাঠামো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই দুমড়েমুচড়ে যাওয়া টাওয়ারগুলোতে কিছু সংস্কারকাজ করে উদ্ধারের জন্য খননকাজ করতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। তাইনানের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট বলছে, এখনো ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।
সরকারি হিসেব বলছে, ওই ভবনে ২৬০ জন বাসিন্দা ছিল। তবে মেয়র লাই বলছেন, তাঁর ধারণা ভূমিকম্পের সময় সেখানে ৩০০ জন বাসিন্দা ছিল। নতুন চান্দ্রবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে অনেকেই ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। অনেকের আত্মীয়স্বজনও বেড়াতে এসেছিল। ১৬ তলা ওই ভবনটিতে ১০০ টির মতো ফ্ল্যাট ছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে গতকাল জানিয়েছে আঘাত হানা ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৪। তাইওয়ানে এর আগেও ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে চারজনের মৃত্যু হয় ও ব্যাপক ভূমিধস হয়। ১৯৯৯ সালে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে ২ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারায়।