খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: কখনো ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের হাসান মেহেদী সিফাত। বরং হলে থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মিটিং-মিছিলে অংশ নিতে হয়েছে তাঁকে। যদিও ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে তিনি ছিলেন না। কিন্তু গত শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদল। এতে ফজলুল হক হলের আহ্বায়ক কমিটির ৭ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে হাসান মেহেদীকে।
অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এই ঘটনাকে ‘নাম বিভ্রাট’ বলে দাবি করেছে। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, হাসান মেহেদী সিফাত হলে পরিচিত। কিন্তু তাঁদের কমিটিতে মেহেদী হাসানের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে ছাত্রলীগ করা হাসান মেহেদী সিফাতের নাম চলে এসেছে। হল কমিটির নেতাদের দাবি, মেহেদী হাসান সক্রিয় কর্মী না হওয়ায় অন্য সংগঠনের প্রায় একই নামের সক্রিয় কর্মীর নাম চলে এসেছে।
ছাত্রদলের হল কমিটিতে নিজের নাম দেখে বিস্মিত হয়েছেন হাসান। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। হলে ছাত্রলীগের রুম বলে পরিচিত এমন একটা রুমে থাকি। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতেও গিয়েছি। আমাকে ছাত্রলীগের বলা যেতে পারে। কিন্তু ছাত্রদলের নয়। ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর প্রথম তিন বছর ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। কেমন করে যে আমি ছাত্রদলের কমিটিতে এলাম তা বুঝতে পারছি না। এটা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, আমি গোপনে এত দিন ছাত্রদল করেছি কি না?’
সিফাত বলেন, ‘আমার বাবা খুবই অসুস্থ। তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যেদিন কমিটি ঘোষণা করা হয়, ওই দিন রাতে আমি বাবার সঙ্গে হাসপাতালে ছিলাম। অনেকে ফোন করে আমাকে কমিটিতে থাকার কথা প্রথমে জানায়। এ নিয়ে পরিবারের লোকেরা নানা কথা বলছেন।’
সিফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ থেকে ২০১৫ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এখন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। একই ধরনের নামের কারণে এই সমস্যা হয়েছে। হাসান মেহেদী সিফাতের নাম তালিকায় আমিই দিয়েছি। আসলে আমি মনোবিজ্ঞানের ছাত্র মেহেদী হাসানের নাম তালিকায় দিতে গিয়ে ভুল করে (ইইই)-এর হাসান মেহেদীর নাম দিয়ে ফেলেছি।