খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: আঠারো বছর বয়সী থুবেলিহলে লোডলো এই বৃত্তিটি অর্জন করলেও সে চিন্তিত কারণ কেবলমাত্র কুমারীত্ব রক্ষা করলেই এই অর্থ পাবে সে। বিবিসির সংবা“াতার কাছে সে জানায়, এই শিক্ষার সুযোগ পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা হল আমার কুমারীত্ব ধরে রাখা। কারণ আমার বাবা-মায়ের পক্ষে লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব নয়। আর একারণে মিস এলডোকে নিয়মিত ভার্জিনিটি বা কুমারীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়। যদিও এতে কিছু মনে করছে না লেডলো। সে জানায়, কুমারীত্ব পরীক্ষা তার সংস্কৃতির অংশ। এটা তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন বলে সে মনে করে না। বরং উল্টো প্রতিবার পরীক্ষার পর গর্ববোধ করে সে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ছেলেমেয়েদের মিলনের বয়স ১৬ বছর। যদিও সেই বয়স দুবছর আগেই পেরিয়ে এসেছে মিস এলডো। তবও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ সমাপ্তির জন্য এখনো নিজের কুমারিত্ব ধরে রেখেছে সে। জুলুর সংস্কৃতিতে কুমারীত্ব পরীক্ষার রীতি সাধারণ একটি ব্যাপার। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই জুলু রাজার রাজকীয় প্রাসাদের বার্ষিক নৃত্যোৎসবে অংশ নিতে পারেন। তবে এই বিষয়টিতে ভীষণ আপত্তি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর। তাদের বক্তব্য এভাবে শিক্ষার সুযোগ প্রাপ্তির সাথে যৌনতাকে মিলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক একটি সংগঠনের কর্মী পালেসা এমপাপা বলছেন, এখানে উদ্বেগজনক দিকটি হচ্ছে, এর মাধ্যমে কেবল মেয়েদের দিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে যেটি বৈষম্যমূলক। কিন্তু মূল সমস্যা কিশোরী মাতৃত্ব বা এইচআইভি সংক্রমণ যে বাড়ছে সেই সমস্যার দিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, শুধু মেয়েদের দোষারোপ করলেই চলবে না। তবে এই পদ্ধতির প্রবক্তা অর্থাৎ স্থানীয় মেয়র ডুডু মাযিবুকু এমন বক্তব্যের সাথে একেবারেই একমত নন। তিনি বলছেন, এই বৃত্তি কোনও পুরস্কার নয়, কিন্তু একটি মেয়ের জীবনের জন্য এটি একটি আজীবন বিনিয়োগের সমতুল্য।যারা অন্য পথ বেছে নিয়েছে তাদের আমরা নিন্দা করছি না। বরং তাদের জন্য অন্য বৃত্তি রয়েছে”।