Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

7kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: চোস্ত ইংরেজিতে উত্তর দিয়ে জবাবটা সেদিন এক রকম মাঠেই দিয়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। পিএসএলের দ্বিতীয় ম্যাচে লাহোর কালান্দারসের বিপক্ষে অপরাজিত ৫৫ রান করে পেশোয়ার জালমিকে এনে দিয়েছিলেন ৯ উইকেটের সহজ জয়, হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচও। এরপর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারের জন্য তামিমকে ডেকে রমিজ রাজার সেই বিতর্কিত শুরু, ‘তামিম, আমি তো আপনার ভাষা জানি না। ইংরেজি চলবে তো, নাকিৃ?’
তাৎক্ষণিকভাবে তামিম বিষয়টাকে সহজভাবে নিয়ে সাবলীল ইংরেজিতেই কথা বলেছেন রমিজের সঙ্গে। কিন্তু সাবেক পাকিস্তান ওপেনারের ওই আচরণ বিস্মিত করেছে সবাইকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বয়ে গেছে সমালোচনার ঝড়। ৯ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা তামিমের ইংরেজি জ্ঞান রমিজের জানা না-থাকাটাই বিস্ময়ের। তামিম তো আর এই প্রথম ভাষ্যকারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। রমিজের সঙ্গেও বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে।
এমনকি সেই ম্যাচের আগে দিনই তামিম সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে অনর্গল ইংরেজিতে পিএসএলে খেলা নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তখন রমিজ ধারাভাষ্য কক্ষেই ছিলেন।
‘ইংরেজি চলবে তো, নাকিৃ?’ বলার পর রমিজ এমনভাবে থেমেছিলেন, অনেকের মনে হয়েছে, রমিজ তামিমকে উর্দুতে বলারই নীরব প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে তামিম মাথা নেড়ে জানান ইংরেজিতেই বলবেন। এ নিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকেরা রমিজের ওপর একচোট নিয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকেরাও রমিজের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নানা সময়ে। তাঁকে নিয়ে বেশ কিছু​ কৌতুকও প্রচলিত আছে। আছে তাঁর করা ভুলের সিরিজ ভিডিও।
ঘটনার কেন্দ্রে ছিলেন যিনি, সেই তামিম অবশেষে এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানালেন। গতকাল রাতে মুঠোফোনে পিএসএল নিয়ে কথোপকথনের একপর্যায়ে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৬ ফেব্র“য়ারির ঘটনা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হলো তামিমের কাছে। এসব ক্ষেত্রে ক্রিকেটাররা বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তামিমও করলেন। তবে ব্যাপারটা যে তাঁকেও বিস্মিত করেছে এবং এ নিয়ে যে তাঁর মনেও ক্ষোভ আছে, গোপন রাখতে পারেননি সেটা, ‘ওই সময় আমি বিষয়টা ধরতে পারিনি। আমি এটাও বলতে পারব না কাজটা আমাদের হেয় করার জন্য ইচ্ছে করে করা হয়েছে কি নাৃউনি (রমিজ) কেন এটা করলেন জানি না। ইচ্ছে করে করে থাকলে অবশ্যই তা ঠিক হয়নি। তবে কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে না করে থাকলে অন্য ব্যাপার।’
ওই এক ঘটনা ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠানরত পিএসএলে কিন্তু দারুণ সময় কাটছে তামিমের। মাঠে, মাঠের বাইরেও। দলের পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গেও তাঁর ভালো সখ্য, ‘আমার সঙ্গে সবারই ভালো সম্পর্ক। আফ্রিদি, হাফিজ, কামরান আকমলদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটে।’
পেশোয়ার জালমির হয়ে কাল পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে দুই ফিফটিসহ তামিমের রান ১৫৭। কাল সাকিব-মুশফিকদের দল করাচি কিংসের বিপক্ষে ৩ রানের জয়েও বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ওপেনারর ৩৭ ছিল দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা তিন ব্যাটসম্যানের একজন তিনি। বিপিএলের ফর্মটাই যেন আরও শানিয়ে নিচ্ছেন। প্রস্তুত হচ্ছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য।
স্বাভাবিকভাবে দলও ভীষণ খুশি তামিমের ওপর, ‘ওরা আগে থেকেই আমার খেলা পছন্দ করে। এখানে আমি দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারছি বলে সবাই খুশি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আমার পক্ষে আরও ভালো ব্যাটিং করা সম্ভব। পরের ম্যাচগুলোতে চেষ্টা করব আরও ভালো কিছু করতে।’
সেটা করতে পারলে আবারও ম্যান সেরার পুরস্কার নিতে রমিজের মুখোমুখি হবেন। রমিজের স্মৃতি যদি এতটা দুর্বল না হয়ে যায়, তখন নিশ্চয়ই সেই একই প্রস্তাব আর পাড়বেন না, ‘ইংরেজি চলবে তো, নাকি