খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: শিক্ষার পক্ষে আওয়াজ তুলে শেষমেশ প্রাণ খোয়াতে হল এক পাকিস্তানি কিশোরীকে। না, মালালা ইউসুফজাইয়ের মতো তালিবানদের আক্রমণ নয়। এবার মরাল পুলিসের ভূমিকায় নাম উঠে এল এক কলেজ প্রিন্সিপালের। একবছর ধরে বালুচিস্তান প্রদেশের মুসলিম বাগের গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজে কোনো শিক্ষিকা ছিল না।
শিক্ষকরা পুরুষ, তাই তাঁদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে না মেয়েরা। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ছাত্রীদের ক্লাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন কলেজের প্রিন্সিপাল আবিদা গোয়াস। গ তবছর জুনে ১৭ বছরের ছাত্রী সাকিবা ককারের নেতৃত্বে ১২ জন ছাত্রী কোয়েটা প্রেস ক্লাবের সামনে কলেজের এই ঘটনার কথা তুেল ধরে।
দাবি ওঠে, ইচ্ছাকৃত কলেজের সমস্ত শিক্ষিকাকে কলেজ ছাড়তে বাধ্য কিেরছলেন প্রিন্সিপালই। সংবাদমাধ্যমের সামনে অপমানের বদলা নিতে ওই ১৩ জন ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়া আটকে দেন গোয়াস। এমনকী ছাত্রীরা ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিলেও মন গলেনি তাঁর। পরীক্ষা না দিতে পারায় অবসাদে ডুবে যায় সাকিবা। অবশেষে রবিবার সে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেন বালুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সানাউল্লাহ জেহরি।