খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: টঙ্গীর পাগাড় এলাকার জাবের এন্ড জুবায়ের গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে গত এক সপ্তাহ যাবত জ্বীন আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে কারখানার কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মরত শ্রমিকরা বিক্ষোপ প্রকাশ করে।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবত তারা কারখানার টয়লেট ব্যবহার করতে গেলে এর ভিতরে থেকে অদ্ভুত আকারের কালো প্রতিচ্ছবি বেরিয়ে এসে তাদের আক্রমণ করে। ফলে কোন শ্রমিকের পায়ে আবার কোন শ্রমিকের অন্য অঙ্গে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এতে তারা আহত ও অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন।
এভাবে গত ৭ থেকে ৮দিনে কারখানার মহিলা শ্রমিক প্রিয়া আক্তার (২১), রিতা আক্তার (২২), হেলেনা বেগম (২৮), হোসনে আরা (২৫), কেয়া আক্তার (১৮) ও মনিরা বেগম (২৭)সহ প্রায় ২০-২৫ জন গুরতর আহত হয়। সহকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানায়, গত কয়েক দিনে এ ঘটনায় আমাদের ৪-৫জন সহকর্মী মারা গেছেন। কিন্তু তাদের লাশ কোথায় পাঠানো হয়েছে তা আমরা জানি না। এছাড়া গুরতর আহতদের স্বজনদের কারখানায় ডেকে এনে সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। যে কারণে আহত কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি আমাদেরকে কারখানা কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে মুখ খুললে চাকরিচ্যুতির হুমকিও প্রদান করছে।
এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পাগাড়ের জনৈক টুটুলের লোকজন এ ঘটনা বাইরে প্রকাশ না করতে শ্রমিকদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে বলেও শ্রমিকরা অভিযোগ করেন।
বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সাংবাদিকরা কারখানায় গেলে কর্তৃপক্ষের লোকজন কাউকেই ঢুকতে দেয়নি। কিন্তু প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সদস্যরা কারখানায় প্রবেশ করে দীর্ঘসময় অবস্থান শেষে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে ও রহস্যজনক কারণে এ বিষয়ে কোন প্রকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যেতে অনিহা প্রকাশ করছেন।
এ ব্যাপারে জাবের এন্ড জুবায়ের কারখানার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে (মুঠোফোনে) যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।