Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

22kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ইংল্যান্ডের এক বুকমেকার বাজি নিচ্ছেন। বিষয় হলো, সবকিছু শেষ হলে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের চোখে দেখা যাবে অশ্র“! আসলে অশ্র“সজল হওয়ার মতো বিষয়ই তো ম্যাককালামের সামনে। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের ১০১তম টেস্টে আবেগের চেয়ে অবশ্য বাস্তবতাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ম্যাককালাম। প্রথম টেস্টে হেরেছে দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের এই দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জিতেই ক্যারিয়ার শেষ করার ইচ্ছে তার। শনিবার শুরু হচ্ছে ম্যাককালামের বিদায়ী টেস্ট। এই ম্যাচে ড্র করলেই অস্ট্রেলিয়া আবার টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে চলে যাবে। তাদের যা ফর্ম তাতে ধরে নেয়া যায় তারা জিতবে।
কিন্তু ইতিহাস একটু ভিন্ন কথা বলছে। বিদেশে অস্ট্রেলিয়ার ধারাবাহিকতা নিয়ে এখন প্রশ্ন আছে। ২০১৫ এর শুরুতে তারা দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ায় সিরিজ জিতেছে। কিন্তু তার আগে দেশের বাইরে শেষ সিরিজ জিতেছিল ২০১০ সালে, নিউজিল্যান্ডে। ২০০৯ এ ইংল্যান্ডে, ২০১০ এ পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডে, ২০১৪ তে দক্ষিণ আফ্রিকায়, ২০১৫ তে ইংল্যান্ডে জেতার মতো দল হয়েও জিততে পারেনি তারা। আগামী ৫ দিনে স্টিভ স্মিথের দলকে এই মানসিক বাধার সাথেও লড়তে হবে। ম্যাককালামের বিদায় নিয়ে আবেগে আক্রান্ত নিউজিল্যান্ড দল। প্রিয় অধিনায়ককে জান প্রাণ পণ করেই জয় দিয়ে বিদায় জানাতে চাইবে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার তাই র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে ফেরার কাজটি সহজ হওয়ার কথা না। ম্যাককালাম অবশ্য নিজের বিদায়ী ম্যাচের চেয়ে সিরিজ বাঁচানো জয়ের কথাই বেশি ভাবছেন। আর একটি ছক্কা মারলে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটি হবে তার। হেগলি ওভালে দর্শকও হবে দারুণ। কিন্তু ম্যাককালামের ভাবনায় শুধু জয়, “আমাদের কাজ বাকি আছে। সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে আমরা। একটা মাত্র টেস্ট আছে হাতে। সিরিজে সমতা আনার রাস্তা খুঁজতে হবে। সবার সাথে শেষ টেস্ট খেলাটা উপভোগ করতে চাই।” আসলো বাজির প্রসঙ্গটা। আবেগে অশ্র“ নিশ্চয়ই আসবে ম্যাককালামের! হোম গ্রাউন্ডে খেলা। সেটাও বাড়তি ব্যাপার। ম্যাককালাম অবশ্য বলছেন, “আমি কতোটা ব্যাট করতে পারি তার ওপর নির্ভর করে এটি।
এখনই বলা যাচ্ছে না।” সবুজ উইকেট সিমারদের জন্য লোভ জাগানো। অস্ট্রেলিয়া সেখান থেকে বাড়তি সুবিধা নিতেই পারে। প্রথম টেস্টে তারাই তো চারদিনে নিউজিল্যান্ডকে হারালো ইনিংস ও ৫২ রানে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথ অবশ্য উইকেটের দিকে অতো গুরুত্ব দিতে নারাজ, “এতে উদ্বেগের কিছু নেই। আমাদের ব্যাটসম্যানদের কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে হবে। এখানে আসার আগেই জানতাম কি সামলাতে হবে।” ম্যাককালাম টস জিতলে বোলিংই নেবেন। বলেছেন, “এখানে চমৎকার ঘাস আছে।
আমি নিশ্চিত, দুই দলের বোলাররাই এমনটা চায়।” দুই দলের বোলিং আক্রমণেই ইনজুরির কারণে একটি করে পরিবর্তন আছে। ডগ ব্র্যাসওয়েলের জায়গায় নিউজিল্যান্ড ম্যাট হেনরিকে আনছে। ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন তিনি। আর অস্ট্রেলিয়ার পিটার সিডলের জায়গা নিচ্ছেন জেমস প্যাটিনসন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এই টেস্টে ম্যাককালামের বিদায়ই প্রধান শিরোনাম।