Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

30kখোলা বাজার২৪ মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, ইভটিজিংয়ের ঘটনার মধ্যে ভারতের রাজস্থানের একটি গ্রামে শুরু হয়েছে এক অনন্য প্রথা। সেই গ্রামে কন্যা সন্তানের জন্ম হলে রীতিমতো উৎসব পালন করা হয়। তৎক্ষণাৎ লাগানো হয় ১১১টি গাছ।
গ্রামটির নাম পিপ্লান্ত্রি। রাজস্থানের রাজসমা- জেলায় অবস্থিত এই গ্রাম। সেখানে কন্যা সন্তান জন্মালে ১১১টি গাছ লাগানো হয়। গ্রামের মানুষ নিজে থেকেই বেটি বাঁচাও প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। গ্রামবাসীর মতে, কন্যা ভ্রূণ হত্যা রোধ করার এ এক অভিনব প্রয়াস।
কন্যা সন্তানদের সংরক্ষণের পাশাপাশি বটবৃক্ষের সংরক্ষণও যে গুরুত্বপূর্ণ, আর কেউ না জানুক, গ্রামের নিরক্ষর লোকগুলো তা বিলক্ষণ জানে। উদ্যোগটি নিয়েছে সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েত। বিগত ৬ বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা। বাড়ির মেয়েদের বেড়ে ওঠার সঙ্গে বেড়ে ওঠে গাছগুলোও। নিম, আম, আমলা প্রভৃতি গাছ লাগানো হয়েছে সারি বেঁধে। প্রত্যেক বছর প্রায় ৬০টিরও বেশি কন্যা সন্তান জন্মায় সেই গ্রামে। এখনই রুক্ষ রাজস্থানের এই গ্রামটি ভরে গেছে সবুজ গাছে।
মরুভূমির মধ্যে যেমন কখনওসখনও কয়েক ফোঁটা জলের উপস্থিতি পাওয়া যায়, ঠিক তেমনই গাছপালাহীন রাজ্যটিতে এমন একটি গ্রামও আছে যা বাকিদের চেয়ে সতন্ত্র। সেখানে কন্যা জন্মানে বাড়ির লোকে হাঁহুতাশ করে মরে না। শোক করে না। বরং কন্যাকে কোলে নিয়ে খুঁজে বেড়ায় নরম মাটি। ১১১টি বীজ পোঁতে কন্যার মুখে মিষ্টি হাসি ফোঁটাবে বলে। মেয়েদের উপযুক্ত বয়সের আগে যাতে বিয়ে না দেওয়া হয়, সেদিকেও বাবা-মাকে সচেতন করার গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়ত। একইসঙ্গে মেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে গ্রামটিতে। গ্রামের সার্বিক উন্নতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের।