Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

28kখোলা বাজার২৪ শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: বিশ্ব ক্রিকেটে দীর্ঘ একটা সময় ‘ছোট ভাই’ হিসেবে পার করেছে বাংলাদেশ। তবে এক দিনের ম্যাচে মাশরাফিদের সাম্প্রতিক সাফল্যে সে অবস্থা আর নেই। এখন উল্টো বিভিন্ন সহযোগী সদস্যের কাছে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে ‘বড় ভাই’। আজ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সামনে আরব আমিরাত। শক্তির বিচারে বাংলাদেশের নির্ভারই থাকার কথা। কিন্তু নির্ভার থাকতে পারছে কী?
খেলাটি যখন ক্রিকেট, অনেক কিছুই ঘটতে পারে। তারওপর বাংলাদেশকে সামনে পেলে সহযোগী দেশগুলো সাহস পেয়ে যায়। পরিসংখ্যানও সেটাই বলছে। বাংলাদেশ মোট ৫১টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে জয় পেয়েছে ১৫টি। ৩৫ ম্যাচেই হার। সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে ১১ ম্যাচের চারটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। যার দুটি আবার বিশ্বকাপেই।
প্রথম হার ইংল্যান্ডে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এর আগের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্বে উঠেছিল বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে ২০০৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রত্যাশা বেড়ে যায় অনেক। কিন্তু সেবার আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ।
বিশ্ব মঞ্চে সহযোগী দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের সর্বশেষ হার ২০১৪ সালে ঘরের মাঠেই। গত বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে হংকংয়ের কাছে হেরে গিয়েছিল মুশফিকুর রহিমের দল, ওই ম্যাচে হংকং ১৩ ওভারের মধ্যে জিতলে বাংলাদেশ বাদ পড়ে যেত বিশ্বকাপ থেকেই। চট্টগ্রামে সেদিন সাকিব আল হাসানের অসাধারণ বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত সুপার টেন নিশ্চিত হয়েছিল।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারানোর গর্ব আছে আরও দুই দেশের। ২০১২ সালে যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে বাংলাদেশ হেরেছিল হল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের কাছে। হল্যান্ডকে ওই সিরিজেই হারিয়ে শোধ নিলেও স্কটল্যান্ডের কাছে হারের বদলা এখনো নিতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশ্য দু দলের আর দেখাও হয়নি।
সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র তিনটি দেশ বাংলাদেশের বিপক্ষে হাসতে পারেনি। কেনিয়া, আফগানিস্তান ও নেপাল—এই তিন দেশের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলে প্রতিবারই জয়ী বাংলাদেশ। বাকি চারটি দেশ অন্তত একটি হলেও জয় পেয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের অতীত রেকর্ড আমিরাতকে সাহসী করে তুলতেই পারে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমজাদ জাভেদদের লড়াকু পারফরম্যান্সও উৎসাহ দেবে তাদের। সুতরাং সাবধান হতেই হচ্ছে বাংলাদেশকে।