খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য বিশ্ব জুড়ে মায়েদের কাছে বেশ অপছন্দের একটা দিন ২৯ ফেব্রুয়ারি। কারণ, লিপ ইয়ার হওয়ার ফলে এই তারিখটি ফিরে আসে ৪ বছর পর পর।
সন্তানের জন্মদিন পালনের কথা চিন্তা করে অনেকে সম্ভব হলে এ দিনটি এড়তে চান। এছাড়াও শল্য চিকিৎসার সুযোগের কারণে অনেকেই চেষ্টা করেন কোন একটি বিশেষ দিনে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা এ ধরণের অনুরোধ কতোটুকু পান?
ঢাকার ওম্যান এন্ড চিলড্রেন হসপিটালের কনসালটেন্ট গায়নোকলোজিস্ট ড. জাকিউর রহমানের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন- ‘সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঐ মূহুর্তগুলো নিয়ে তারা হয়তো সচেতন না। ৪ বছর পর পর ২৯ তারিখ বা লিপ ইয়ার আসবে এরচেয়ে তারা বেশি চিন্তিত থাকে বা”চা কিভাবে হবে, কত ব্যয় হবে, কোথায় করাবে- এসব নিয়ে। কিন্তু ডাক্তারদের এ বিষয় নিয়ে অভিভাবকদের সচেতন করা উচিৎ। আর যারা সচেতন আছে তারা তো করছেই।
কিন্তু বা”চা জন্মের পর অনেকেই আক্ষেপ করে যে, সে এই বিষয়টি কেন আগে জানলোনা, এ নিয়ে অনেকে আফসোসও করে! তবে আমরা বিশেষ বিশেষ দিনের অনুরোধগুলো বেশি পেয়ে থাকি। যেমন পহেলা বৈশাখ, ১৬ই ডিসেম্বর আবার অনেকেই শাশুরির জন্মদিনের কাছাকাছি বা বাবার জন্ম তারিখের কাছাকাছি সন্তানের জন্মদিন করার ইচ্ছা পোষণ করেন। অনেকে আবার আগের বা”চার জন্মদিনের কাছাকাছি জন্ম তারিখ করা যায় কিনা সে বিষয়ে অনুরোধ করেন।’
চিকিৎসা বিজ্ঞানে সুযোগ থাকার ফলে সব মা-বাবা’ই একটি বিশেষ দিনে বা”চার জন্মদিন প্রত্যাশা করেন। এধরনের অনুরোধ আপনারা তো মাঝে মাঝেই পেয়ে থাকেন। তখন কী ধরণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন?
‘দীর্ঘ ৯ মাস যাবৎ যখন তারা আমাদের কাছে চিকিৎসা নেয়, তখন স্বভাবতই একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যার ফলে আমরা অনুরোধ রাখার চেষ্টা করি। অনেক সময় সেই দিনে বিশেষ কাজ থাকার পরেও সময় মিলিয়ে নিতে হয়। সম্ভব হলে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করি।’
এটা কি আপনার জন্য সমস্যা হয়ে যায়? ‘ঠিক সমস্যা না, একটু কঠিন হয়ে যায়। অনেক সময় ছুটির দিনে বাসায় থাকবো, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোথাও যাব এরকম ইচ্ছা থাকলেও অনেকের অনুরোধ উপেক্ষা করা যায় না। বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে সব গায়নোকলোজিস্টদের কাজের চাপ একটু বেশি হয়ে থাকে।’