খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৫ মার্চ ২০১৬ : তিলকারত্নে দিলশান নিজেকে খুঁজে পেলেন। খেললেন ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংস। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে দিনেশ চান্দিমাল খেলে ফেললেন ৫৮ রানের ইনিংস। তাতে এশিয়া কাপের গুরুত্বহীন ম্যাচটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৫০ রান পেলো শ্রীলঙ্কা। কিন্তু পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানরা আসরের শেষ ম্যাচে একবারও সামনে হারের শঙ্কা আসতে দিলেন না। শারজিল খান, সরফরাজ আহমেদ ও উমর আকমলের ব্যাটে চমৎকার জয় পেলো পাকিস্তান। লঙ্কানদের তারা ৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে হারালো। টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের আগে জয়ের ধারায় ফিরলো পাকিস্তান।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এই ম্যাচের আগে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ১৪বার মুখোমুখি হয়েছে। পাকিস্তান জিতেছে ৯টিতে। শ্রীলঙ্কা ৫টিতে। দিলশান ও চান্দিমাল ১১০ রানের জুটি দিয়েছিলেন। শেষ দিকে সংগ্রহটাকে পাকিস্তানের নাগালের বাইরে নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ (১৪) ঝড় তোলার চেষ্টা করেই ফিরে গিয়েছিলেন। অন্য ওপেনার শারজিল সত্যিকারের মারমার ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। এক ওভারে টানা চারটি বাউন্ডারি মেরেছেন। অষ্টম ওভারের শুরুতে শারজিল ৩১ রানে ফিরেছেন। দলের রান তখন ৫৮।
সরফরাজ ও উমর দায়িত্ব নিয়ে ছুটেছেন। ৩৬ রানের জুটি গড়েছেন। আস্কিং রান রেট বাড়তে দেননি। ২৭ বলে ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ফিরেছেন সরফরাজ। উমর ও শোয়েব মালিক বাকি কাজটা সেরেছেন। লঙ্কান বোলাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন না কখনোই। স্কোর যখন টাই তখন উমর ফিরেছেন। ৩৭ বলে করেছেন ৪৮ রান। শোয়েব অপরাজিত থেকেছেন ১৩ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করেছে শ্রীলঙ্কা। দিলশান ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার হলেও শুরুতেই ফিরতে পারতেন। ব্যক্তিগত ৮ রানের সময় ইরফান খান ক্যাচ ছাড়লে জীবন পেয়েছেন। ফিফটি পার হওয়ার পর দিলশান আরো একবার ইরফানের ক্যাচ ধরার ব্যর্থতায় জীবন পেয়েছেন। তবে প্রথম জীবন পাওয়ার পরের ওভারে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ রান তুলেছেন দিলশান। পুরনো দিলশান ফিরেছেন!
কাফের সমস্যায় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস নেই বলে চান্দিমাল অধিনায়ক। তিনিও পাকিস্তানী বোলারদের থোরাই কেয়ার করেছেন। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পেয়েছেন। ৪৯ বলে ৫৮ রান করে ফিরেছেন চান্দিমাল। ১৫তম ওভারের প্রথম বলে ভেঙ্গেছে লঙ্কানদের ১১০ রানের ওপেনিং জুটি। শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি।
চান্দিমালের ফেরার সময় দিলশান দাঁড়িয়ে ৪৭ রানে। টি-টোয়েন্টিতে ১২তম ফিফটি পেয়েছেন দিলশান। পাকিস্তানী বোলাররা ৪ উইকেট নিয়েছেন ১৫ রানে। শেষ ৬ ওভারে ৩৫ রান তুলতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। এই চাপটা সামলে আরো কিছু রান করতে পারলে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ দেয়া যেতো। ৫৬ বলে ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে ফিরেছেন দিলশান। কিন্তু পাকিস্তানকে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জটা দিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।