খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৫ মার্চ ২০১৬ : বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের টাকা লুটকারীদের ‘শনাক্ত’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ শনিবার নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি ছয়জনকে খোঁজা হচ্ছে। তবে লুণ্ঠিত অর্থ এখনও উদ্ধার হয়নি। এর পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে ওই ঘটনায় গ্রেফতার দুজনের মধ্যে মিন্টু শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। আরেকজন ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে চেয়েছে পুলিশ।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াপাড়া এলাকার মিন্টু (২৮) এবং খুলনার পাইকগাছা থানার গদারডোবা এলাকার ইমনকে (৩৫) শুক্রবার বিকালে গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়াকৈর থানার এসআই এমএ মজিদ বকুল জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেগম তাহমিনা খানম শিল্পীর আদালতে মিন্টু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আরো তথ্য ও লুটের টাকা উদ্ধার করতে গ্রেফতার ইমনের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
এসপি হারুন বলেন, ‘মানি প্ল্যান্টের লোকজন প্রতিদিন রাত ১০-১১টার মধ্যে এটিএম বুথে টাকা লোড করতে যেতেন। কিন্তু টাকা লুটের দিন রাত আড়াইটা-৩টার দিকে কেন তারা বুথে টাকা লোড করতে গেল এটা রহস্যজনক। আর লুট করে যাওয়ার সময় কেন বুথের গার্ডরা গুলি করলো না, বাধা দিল না- এটাতেও রহস্য রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৩ ফেব্র“য়ারি রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার মানি প্লান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের এটিএম এক্সিকিউটিভ-এর সিকিউরিটি গার্ডদের নিয়ে ৯ সদস্য পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বিভিন্ন এটিএম বুথে টাকা লোড করে। এরপর এক কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার পাঁচশ’ টাকা পিকআপ ভ্যানে করে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার ফার্স্ট ট্রাক বুথে লোড করতে যায়।
এ সময় ১২/১৩ ডাকাত পিকআপ ভ্যানে করে এসে রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে টাকা বহনকারী গাড়ির চালক, সিকিউরিটি গার্ড এবং গানম্যানদের একজনকে আহত করে ওই টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আফজালুল আবেদিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় বুথের নিরাপত্তাকর্মীসহ ৯ জনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তাদের কাউকে আটক দেখানো হয়নি বলে জানান এসআই মজিদ।