খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ মার্চ ২০১৬ : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনন্য দিন ৭ মার্চ এর কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টার কিছুক্ষণ পর ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়কের প্রতিকৃতিতে ফুল দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে দলীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও সাহারা খাতুন, দলের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মেসবাহ উদ্দিন সিরাজ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এ সময়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ সময় কাটান। প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সুদীর্ঘকালের আপসহীন আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের জনসমুদ্রে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম- আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম- স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
তার এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। আর দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র লড়াইয়ের পথ ধরে আসে স্বাধীনতা।
দেশের ঐতিহাসিক দিবসটি পালনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ জনসভা করবে। এতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন।
সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে এদিন বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছে; সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।