খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৯ মার্চ ২০১৬ : মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী বিহীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস অসম্পূর্ণ বলে অভিম প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারনের মধ্য দিয়েই তিনি বাংলার মানুষের মনে স্বাধীনতার বিজ বপন করেছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য সেই মহান নেতাকে গত ৪৪বছরের শাসকগোষ্টিরা যথাযথ সম্মানে অধিষ্ঠিত করতে পারে নাই।
আজ বুধবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘৯মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এক দফা দাবী স্মরণে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। ন্যাপ নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু‘র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনছার রহমান শিকদার, সদস্য প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলাম, আক্তার হোসেন, সোলায়মান সোহেল, মোঃ বেলাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হুট করে শুরু হয়নি। বাংলার জনগনকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করতে মওলানা ভাসানীর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধ ছিল এলটি দীর্ঘ ধারাবাহিক আন্দোলনের ফসল। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে অনেকেই যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে সংলাপে ব্যস্ত তখন ৯মার্চ পল্টনের জনসভায় মজলুম জননেতা বজ্রকন্ঠে উচ্চারন করেন ‘সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে কেউ দাবীয়ে রাখতে পারবে না এবং এ ব্যপাওে কোন আপোষ সম্ভব নয়’। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্টি বা দলের একক অবদান দাবী করে প্রকারান্তরে যারা ইতহাসকে বিকৃতি করছে তাদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না। তিনি আরো বলেছেন, স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা এবং সশ¯্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এই বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে যারা মওলানা ভাসানীকে বাদ দিতে চায় তারা নিজেরাই ইতিহাস থেকে বাদ পড়ে যাবেন। মনে রাখতে হবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে মওলানা ভাসানীকে বাদ দেয়ার অপচেষ্টা কখনো শুভ ফল বয়ে আনবে না।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, জাতি হিসাবে আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনসার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আর শ্রেষ্ঠ অর্জনকে অর্জিত করতে যে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন তাকে যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন করা জাতি হিসাবে আমাদের দায়িত্ব। তাঁকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না। স্বাধীন বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস নির্মান সকলের দায়িত্ব। নির্মোহভাবে ইতিহাস নির্মানে ব্যর্থ হলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।