Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

19kখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০১৬ : রাজধানীর বনশ্রীতে দুই শিশু হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চাইনিজ রেস্তোরাঁর মালিকসহ তিনজন এখনো কারাগারে আছেন। শিগগিরই তাঁদের মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, কয়েকটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাঁদের যেতে হবে। আপাতত তাঁরা জামিন পেতে পারেন। তবে মামলা থেকে পুরোপুরি অব্যাহতি পেতে সময় লাগবে।
গত ২৯ ফেব্র“য়ারি বনশ্রীতে খুন হয় শিশু নুসরাত আমান ও আলভী আমান। এই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন শিশু দুটির মা মাহফুজা মালেক জেসমিন। তা ছাড়া শিশু দুটির লাশের ময়নাতদন্তেও শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা বলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু দুটির মা মাহফুজা নিজে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন। র‍্যাবও একই কথা বলেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে—এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয় রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক মো. মাসুদুর রহমান, পাচক (শেফ) মো. আসাদুজ্জামান ও আতাউর রহমানকে। পরে সন্দেহভাজন (৫৪ ধারা) হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠালে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ মার্চ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শিশু দুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও এই তিনজন এখনো মুক্তি পাননি। তাঁরা কবে নাগাদ মুক্তি পাবেন, এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে রামপুরা থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোমেন বড়ুয়া আদালতকে বলেছিলেন, ‘কোনো প্রকার ট্রেনিং (প্রশিক্ষণ) না নিয়ে রেস্তোরাঁ পরিচালনা ও রান্নাবান্নার কারণে দুটি শিশুর মৃত্যু সংঘটিত হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করে পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, খাদ্যে কোনো বিষক্রিয়া ছিল কি না, তা পরীক্ষার জন্য আলামত মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। যদিও বোঝা যাচ্ছে, খাদ্যে বিষয়ক্রিয়ার কারণে শিশু দুটির মৃত্যু হয়নি। এরপরও অব্যাহতি চেয়ে পুলিশের আবেদনের ক্ষেত্রে ওই প্রতিবেদনের ভূমিকা থাকবে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগার থেকে ভিসেরা রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এই তিনজনের ব্যাপারে তাঁদের করণীয় কিছু নেই। তবে প্রতিবেদন পাওয়ার পর রেস্তোরাঁর খাবারে কোনো সমস্যার কথা বলা না হলে তাঁরা তিনজনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দেবেন। তিনি বলেন, পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রেস্তোরাঁর ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১ মার্চ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই তিনজনের জামিনের ওপর শুনানি হয়। আদালত তা নাকচ করে তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। কোর্ট পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হামিদুল হক বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন নতুন করে জামিনের আবেদন করেছেন। তা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।