Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ১২ মার্চ ২০১৬ : টি-টোয়েন্টিতে বিস্ফোরক শুরু বলতে যা বোঝায় তাই পেয়েছিল বাংলাদেশ। আইরিশরা ঠেকাতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি এসে থামালো টাইগারদের! ৮ ওভারে ২ উইকেটে তারা করেছিল ৯৪ রান। ১২ ওভারে নির্ধারিত ওই ম্যাচের তখনো ৪ ওভার বাকি। ২৬ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৭ রান করে মাত্রই ফিরেছেন তামিম ইকবাল। ১৩ রানে উইকেটে ছিলেন সাব্বির রহমান। ১৩ বলে ২০ রান করে আগেই আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। এই সময় বৃষ্টির কারণে বন্ধ হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচটি। ধর্মশালায় আবার নেমেছে ভারী বৃষ্টি। ম্যাচ আর হবে কি না সন্দেহ। তবে বাংলাদেশ আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পেলে আয়ারল্যান্ডকে টার্গেট দেয়ার সুযোগ থাকলে? বৃষ্টি আইনে আইরিশদের জয়ের টার্গেট দাঁড়াবে ৮ ওভারে ১০৮ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল টাইগাররা। ২০ ওভারের ম্যাচে সাধারণত ১০ ওভারে ৭০-৮০ এর ঘরে থাকে বাংলাদেশ। সেই হিসেবে আইরিশদের বিপক্ষে শুরুটা বিস্ফোরক বটে। পাওয়ার প্লের চার ওভারে তামিম-সৌম্যর ঝড়ে এলো ৫২ রান। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে সৌম্য স্টাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার সময় দলের রান ৬১। পরের ওভারে তামিমেরও একই ভাগ্য বরণ করার কথা। নেমে খেলে বল মিস করেছিলেন। উইকেটকিপার নিয়াল ও’ব্রায়েন মিস করেছেন স্টাম্পিং।
তামিম তার আগের ম্যাচের অপরাজিত ৮৩ রানের আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলা শুরু করেছেন। প্রথম ওভারে ৪ রান কপাল কুঁচকে দিয়েছিল অনেকের। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে তামিম রুদ্রমূর্তীতে। বয়েড র‌্যানকিনকে একটি করে ছক্কা ও চার মারলেন। পরের ওভারে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকেও একটি ছক্কা মারার পর বাউন্ডারি হাঁকালেন। দুই ওভারে ১৬+১৩=২৯ রান! সৌম্য চুপ থাকলেন না। চতুর্থ ওভারে কেভিন ও’ব্রায়েনকে তিনটি বাউন্ডারি মেরে দিলেন। নিজের প্রথম বলে লাইফ পেয়েছিলেন। আরো একটি পেলেন। এই ওভারে ১৯ রান!
দুই প্রান্তে স্পিন দিয়ে রানের গতি সামলাতে চেষ্টা করেছে আইরিশরা। তামিম তবু ছুটছিলেন। আরো দুটি ছক্কা মারলেন। একটি বাঁ হাতি স্পিনার জর্জ ডকরেলকেও। অষ্টম ওভারের শেষ বলটিতে ডকরেলকে তুলে মারতে চেয়েছিলেন। ক্যাচ হয়ে ফেরার সময় ২৬ বলে ৪৭ রান তার। একটুর জন্য টানা দুই ম্যাচে ফিফটি হলো না তামিমের। কিন্তু ৮ ওভারে দলের ৯৪ রান তোলায় তিনিই রেখেছেন প্রধান ভূমিকা। তামিমের বিদায়ের আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল। তিনিও ফিরছেন, মাঠ কর্মীরাও কাভার নিয়ে ঢুকলেন ভেতরে। আবার ঢাকা পড়তে থাকলো মাঠ। সারাদিনটাই যেমন ঢাকা ছিল। ওমান-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে যে কারণে।