খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০১৬ : বছরখানেক ধরে স্বপ্নযাত্রায় থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজার বাংলাদেশ দল আগামীকাল বুধবার পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এগিয়ে যেতে চায়। তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হবে খেলাটি।
বাংলাদেশ দল অবশ্য সাম্পতিক সময়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাফল্যের ধারাতেই আছে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজেদের মাটিতে শহিদ আফ্রিদির পাকিস্তানকে হারিয়েই এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে। তাছাড়া গেল বছর দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর মাশরাফি বাহিনী জিতে নিয়েছিল একমাত্র টি-টোয়েন্টিও।
মাশরাফিরা জানেন পাকিস্তানকে হারাতে পারলে এবারের বিশ্বকাপটিতেও ভাল কিছু করা সম্ভব।
মাশরাফি তাই খেলা শেষে বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটি অনেক বড় ম্যাচ। আমরা সেই ম্যাচেই মনোযোগ দিচ্ছি। যদি ভালোভাবে সেই ম্যাচ খেলতে পারি, সামনে হয়ত ভালো করব আরও। আরেকটু পরিষ্কার করে বললে, প্রথম ম্যাচটি যদি আমরা জিতে যেতে পারি, তাহলে দারুণ আত্মবিশ্বাস থাকবে সামনে এগিয়ে চলায়।’
তামিমও খেলাটির পর অধিনায়কের পাশে বসে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ওদের সঙ্গে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি। যেভাবে আমরা খেলে আসছি, এভাবে খেললে আমি নিশ্চিত যে, ফল আমাদের পক্ষে আসা সম্ভব। আর প্রথম ম্যাচে ভালো খেলতে পারলে পরে যে কোনো কিছুই হতে পারে। আমরা যেতে পারি অনেক দূর।’
ভারতের পড়শি হলেও বাংলাদেশ দল সেখানে খেলতে গেল ১০ বছর পর। সঙ্গত কারণেই ভারতের হোম কন্ডিশনে অভ্যস্ত নয় মাশরাফিরা। যদিও ধর্মশালায় বাছাই পর্বে বৃষ্টির বৈরিতার মধ্যেও ভাল ক্রিকেট খেলেছে মাশরাফি বাহিনী। তাই আসন্ন লড়াইগুলোয় ভাল কিছু করার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ দলের নিরন্তর অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস মাশরাফি।
সাম্প্রতিক সময়ে ভাল খেললেও মাশরাফি জানেন সুপার টেন পর্বে কতটা কঠিন গ্রুপে পড়েছে তার দল। কেননা বাংলাদেশ এ রাউন্ডে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডকে। তাদের সাথে খেলতে হবে কলকাতা ও ব্যাঙ্গালুরুর কন্ডিশনে। এ কারণেই সতর্ক মাশরাফি। কেননা তিনি জানেন, সামনে কাজটা আরও কঠিন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের খুব কাছে হলেও কখনও খেলিনি। এখানে খেলাটা কঠিন। কাজেই আমরা উইকেট দেখব, সেভাবে পরিকল্পনা করব, অনেক কিছুর ব্যাপার আছে।’
নিজের দলকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক আরো বলেন,‘টি-টোয়ন্টিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমরা এখানে খেলতে এসেছি এবং ভালো খেলতে এসেছি। সুপার টেনে আমরা কোন ধরনের ক্রিকেট খেলব, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সেরা ক্রিকেটই খেলব, সেটাই আমাদের ইচ্ছা। আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে আমরা যেভাবে পারফর্ম করছি, আমাদের খুব কিছু ভাবার নেই।”
তার আরো মত, ‘গত এক-দেড় বছরে কিন্তু আমরা কোনো টার্গেট ধরে এগিয়ে যাইনি। আমরা শুধু একটি ব্যাপার ভেবেছি যে পারফরম্যান্সের গ্রাফটা যেন ওপরের দিকে যায়। আমরা যে কঠোর পরিশ্রম করছি, সেটা যেন দিন দিন বাড়ে। আমরা এভাবেই সফল হয়েছি। টি-টোয়েন্টিতে আমরা এখনও খুব ভালো জায়গায় যেতে পারিনি, তাই প্রতিটি ম্যাচ ধরেই এগোতে চাই।”