খোলা বাজার২৪,বুধবার, ১৬ মার্চ ২০১৬: হলদি দুধ বা হলুদ দেওয়া দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক প্রতিদিন সন্ধ্যায় পান করলে এর উপকারিতা অসাধারণ। নিচে যে রেসিপিটি থাকছে তার প্রধান উপাদান হলুদ।
হলুদে কারকিউমিন নামের পলিফেনল উপাদান থাকে। শরীরের জন্য এই উপাদানটি ১৫০টিরও বেশি কাজে লাগে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি ও এর ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাগুণ রয়েছে এর।
হলুদ বা কারকিউমিনের অন্যান্য উপকারিতা
ক্স অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপ্টিক
ক্স রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ক্স ক্যান্সার প্রতিরোধী
ক্স কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ক্স হজমশক্তি বাড়ায়
ক্স লিভারের দূষিত উপাদান দূর করে
ক্স মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
ক্স উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
ক্স স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
ক্স ত্বকের জন্য উপকারী
ক্স নিউরোলজিকাল ডিজঅর্ডারে কাজ করে
ক্স শরীরের ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়
হলুদের সঙ্গে গোল মরিচ যোগ করলে গোল মরিচের পিপারাইন নামের উপাদানের কারণে হলুদে থাকা কারকিউমিনের জৈব গুণাগুণ ১০০০ গুণ বৃদ্ধি পায়। খাবারে মসলা হিসেবে ব্যবহার করলেও একই ব্যাপার ঘটে।
হলুদ এবং গোল মরিচ একসঙ্গে মিশ্রণ করলে আপনার শরীরের হলুদ গ্রহণ করার ক্ষমতা শতকরা দুই হাজার গুণ বৃদ্ধি পায়।
হলদি দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক রেসিপি
১ম ধাপ: হলুদের পেস্ট তৈরি
উপাদান
ক্স ১/৪ কাপ হলুদের গুঁড়া
ক্স ১/২ চা চামচ গোল মরিচ
ক্স ১/২ কাপ পান করার পানি
নির্দেশনা
একটি ছোট পাত্রে বা সসপ্যানে এই উপাদানগুলি ভালোভাবে মিশান। মাঝারি আঁচে চুলায় দিয়ে তা নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না এটি একটি ঘন পেস্টে পরিণত হয়। এতে বেশি সময় লাগবে না, তাই পাত্র চুলায় দিয়ে অন্য কোথাও যাবেন না।
এই পেস্টজাতীয় মিশ্রণটিকে ঠাণ্ডা করে একটি ছোট বাটি বা জারে ফ্রিজে রেখে দিন।
২য় ধাপ: গোল্ডেন মিল্ক
উপাদান
ক্স ১ কাপ অ্যালমন্ড মিল্ক বা বাদামের দুধ (নারকেলের দুধেও হবে)
ক্স ১ চা চামচ খাওয়ার নারকেল তেল
ক্স ১/৪ চা চামচ অথবা তার বেশি হলুদের পেস্ট (আগে থেকে তৈরি করে ফ্রিজে রাখা)
ক্স মধু
নির্দেশনা
মধু ছাড়া বাকি সব উপাদান একটি পাত্রে বা সসপ্যানে নিন। মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন এবং তরল মিশ্রণটিকে ফুটে উঠার আগেই নামিয়ে ফেলুন। এরপর স্বাদমত মধু যোগ করুন।
এখন আপনার গোল্ডেন মিল্ক বা হলদি দুধ তৈরি।