খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০১৬ : রিভিউয়ের পরেও তাসকিন আহমেদের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে আইসিসি। রিভিউ আপিল শেষে জুডিশিয়াল কমিশনারও সমর্থন করেছে এ নিষেধাজ্ঞা।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিসি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাসকিন আহমেদের বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে। জুডিশিয়াল কমিশনারের রিভিউ শুনানীর পর আজ আইসিসি এ ঘোষণা দিচ্ছে। তাই বিশ্বকাপে আর ফেরা হচ্ছে না বাংলাদেশের এ তরুণ পেসারের। যথারীতি বোলিং অ্যাকশন ঠিক করে খেলায় ফিরতে পারবেন তিনি।
গত ৯ মার্চ ধর্মশালায় বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের সন্দেহের ঘেরাটোপে পড়েন তাসকিন। তারপরই চেন্নাইয়ে তার পরীক্ষা নেয়া হয়। ওই পরীক্ষায় দেখা যায় তাসকিনের কিছু ডেলিভারি কনুই বাঁকানোর সীমানা অতিক্রম করে। যার কারণে তার বোলিং অবৈধ পাওয়া গেছে। তাই নিষিদ্ধ করা হয়।
তাসকিনের অধিকার ছিল এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন করার।
গতকাল মাইকেল বেলঅফ কিউসি কয়েক ঘন্টাব্যাপী টেলিকনফারেন্স করেন। শুনানীতে যুক্তি খন্ডনের মাধ্যমে আইসিসি জানাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাসকিনের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে। খুব দ্রুতই এর কারণ লিখিত আকারে জানানো হবে।
এর মাঝে তাসকিন সংশোধনের কাজ শেষে বোলিং অ্যাকশন পুর্নমূল্যায়নের আবেদন করতে পারবেন। সেটাও একই নীতিতে দেখা হবে। পরে বোলিং অ্যাকশন ঠিক শেষে, সব ডেলিভারিতে কনুই বাঁকানোর সীমা অতিক্রম না করলে তার নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হবে। আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবে।
গত ৯ মার্চ ধর্মশালায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের দুই বোলার আরফাত সানি ও তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক বলে রায় দেন ম্যাচের কর্মকর্তারা। তাদের রিপোর্টের পর আরাফাত সানি ১২ মার্চ ও তাসকিন ১৫ মার্চ নিকটস্থ চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরিতে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। ১৯ মার্চ আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে বাংলাদেশের দুই বোলার আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদকে সব ধরনের বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করেছে তারা।