Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4 খোলা বাজার২৪, রোববার, ৩ এপ্রিল ২০১৬: রাজশাহীর দুর্গাপুরে জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় স্থানীয় সাংসদ কাজী আবদুল ওয়াদুদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত লোকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে জয়নগর ইউপি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই করতে উপজেলার রসুলপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাংসদ কাজী আবদুল ওয়াদুদ। সভা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদের নেতৃত্বে দেড়-দুই হাজার নেতা-কর্মী রসুলপুর মাঠে গিয়ে জড়ো হন। এরপর মজিদের পক্ষের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাংসদের পক্ষের নেতা-কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় সাংসদ আবদুল ওয়াদুদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আহত হন অন্তত ৩০ জন। এরপর নেতা-কর্মীদের সহায়তায় সাংসদ এলাকা থেকে চলে যান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আবদুল মজিদের অভিযোগ, তিনি তাঁর পক্ষের লোকজন নিয়ে সভাস্থলে গিয়ে দেখেন যে আগে থেকে সাংসদের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বসে আছেন। লাঠি নিয়ে কেন প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে—এ কথা জানতে চাইলে সাংসদের পছন্দের প্রার্থী জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে লোকজন তাঁর (মজিদ) ওপর হামলা চালান। হাতুড়ি দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
এ ব্যাপারে সাংসদ আবদুল ওয়াদুদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তাঁদের শান্তিপূর্ণ সভায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মজিদের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সাংসদ ও উপজেলার চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।