Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০১৬: অবরোধের মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া।
একই মামলায় মঙ্গলবার খালেদার সঙ্গে জামিন পেয়েছেন তার উপদেষ্টা ও আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
এ মামলায় আদালত খালেদা জিয়াসহ পলাতক ২৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত।
এছাড়া যাত্রাবাড়ীর ওই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলা, গুলশানে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে হাতবোমা হামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদীর করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাতেও খালেদা এদিন মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজিরা দেবেন। এ মামলাতেও তার পক্ষে ইতোমধ্যে জামিনের আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা।
যাত্রাবাড়ীর দুই মামলা
গুলশানে নিজের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে গতবছর ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লাগাতার অবরোধ ডাকার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু হয়।
এর মধ্যে ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাঠের পুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে অগ্নিদগ্ধ ও আহত হন ৩০ জন। এর মধ্যে নূর আলম নামে এক ঠিকাদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার এসআই কে এম নুরুজ্জামান দুটি মামলা করেন, যাতে অবরোধ আহ্বানকারী বিএনপি চেয়ারপারসনকে করা হয় হুকুমের আসামি।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫(ঘ) ধারায় করা মামলায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির ১৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে যাত্রাবাড়ী বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ গত বছরের ৬ মে হত্যা মামলায় এবং ১৯ মে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
এরপর চলতি বছর ২৮ জানুয়ারি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গত ৩০ মার্চ আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পলাতকদের গ্রেপ্তার করা গেল কিনা- সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সেদিন ২৭ এপ্রিল তারিখ ঠিক করে দেন মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
এ মামলার ৩৮ আসামির মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, শিক্ষক নেতা সেলিম ভূঁইয়াসহ ছয়জন জামিনে রয়েছেন। এছাড়া শহিদুল খান, লিটন, পারভেজসহ চারজন কারাগারে রয়েছেন।