খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০১৬: কলেজছাত্রী তনু হত্যার ভিসেরা রিপোর্ট তৈরি হয়েছে, শনাক্ত হয়েছে জড়িতরা। মোবাইল ফোনে সংবাদকর্মীদের এমন তথ্য নিশ্চিত করছেন চট্টগ্রাম সিআইডির উধ্বর্তন এক কর্মকর্তা।
তাও সরকারি নম্বর থেকে। তবে এর সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে মিললো চাঞ্চলকর তথ্য। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ফোনে কোনো কথাই বলেননি। তার সন্দেহ মোবাইল ফোনের সিম ক্লোন করে এই কাজ করেছে একটি চক্র। তাদের ধরতে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে সিআইডি।
ফোনের সেই কথা গুলো পাঠকদের তুলে ধরা হলো:
অজ্ঞাত ব্যক্তি : সিআইডি কর্মকর্তার সিম ক্লোন করে অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে কথোপকথন, সবকিছু আমার কাছে আছে। রিপোর্টটা এখনই করে দেন। আপনি চাইলে আমি যেকোন মুহূর্তে সব ফুটেজগুলো দিয়ে দিতে পারব।
সিআইডি : সেগুলো এখনই পাঠিয়ে দেন।
অজ্ঞাত ব্যক্তি : আপনি তো সবগুলোই মনে হয় করছেন। নাকি করেন নাই এখনও।
গেল রোববার রাতে এভাবেই সিআইডির এক কর্মকর্তার সরকারি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এক সংবাদকর্মীকে কুমিল্লার চাঞ্চল্যকর তনু হত্যা সম্পর্কে তথ্য দেন অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি। ফোনে একইভাবে কথা হয় আরও কয়েকজন সংবাদকর্মীর সাথে। দেয়া হয় একই তথ্য।
তাতে এমন কিছু স্পর্শকাতর তথ্য দেয়া হয়, তা শুনে সন্দেহ হলে অনুসন্ধানের পর বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।
দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার তারেক মাহমুদ বলেন, অফিসিয়াল নাম্বার থেকে বলা হয়। এই রিপোর্টটা যেন আমাদের অনলাইনে খুব তাড়াতাড়ি পাবলিশ করে দেই। কথাটা শুনে আমার সন্দেহ হয়। তারপর আমাদের সিআইডি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ব্যক্তিগত ফোনে ফোন করে জানতে পারি যে আসলে মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে।
যার নাম ব্যবহার করে ফোনে এসব তথ্য দেয়া হয়েছিল সিআইডির সেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলছেন, তিনি এমন কোন তথ্য দেয়া দূরে থাক কারও সাথে কথাই বলেননি। তাই মোবাইল সিমটি ক্লোন হয়েছে বলে ধারণা করছেন এই কর্মকর্তা।
এই ঘটনার পর খুলশী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন কুতুবউদ্দিন। তাঁর মতে, স্পর্শকাতর বিষয়ে গুজব ছড়াতেই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র। যাতে তারা টার্গেট করেছেন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন নম্বর।
সুপার কুতুব উদ্দিন আরও বলছেন,এই বার্তাটা বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিম বেছে নিয়েছে।
জড়িত চক্রটিকে ধরতে সংশ্লিষ্ট থানার পাশাপাশি সিআইডিও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
চ্যানেল২৪ থেকে নেয়া
