Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

33খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৬: প্যারিস সেন্ট জার্মেইঁ (পিএসজি) বা ম্যানচেস্টার সিটি—প্যারিসে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটা জিততে পারত যে কেউ-ই। দুই দলই একবার করে এগিয়ে যাওয়ার সুবিধা পেয়েছিল। কিন্তু জয়ের স্বস্তি খুঁজে নেওয়া হয়নি কারওই। ২-২ গোলে অমীমাংসিত এই ম্যাচটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত স্বস্তি দিচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটিকেই। প্রতিপক্ষের মাঠে দুই গোল করার সুবিধা এখন ঘরের মাঠে একটি গোলশূন্য ড্র কিংবা ১-১ ব্যবধানে অমীমাংসাই ইংলিশ দলটিকে প্রথমবারের মতো তুলে দেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে।
খেলার শুরুতেই সিটিকে বাঁচিয়েছিলেন গোলরক্ষক জো হার্ট। দারুণ এক পেনাল্টি বাঁচিয়ে পিএসজিকে শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুবিধাটা নিতে দেননি। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ইংলিশ এই গোলরক্ষক।
পিএসজির সেরা তারকা ইব্রাহিমোভিচ প্রথমার্ধেই আরও একটি দারুণ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। জো হার্টকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেননি। সিটির ডেভিড লুইজও এই অর্ধে বেশ সহজ একটি গোলের সুযোগ হারালেন।
৩৮ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ফার্নান্দিনিয়োর পাস থেকে গোলটি করলেন কেভিন ডি ব্র“ইন। ৪১ মিনিটেই পিএসজিকে খেলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন ইব্রাহিমোভিচ। জো জার্টের গোল কিক বক্সের বাইরে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে না নিয়েই ভুল জায়গা পেস বাড়িয়েছিলেন ফার্নান্দিনিয়ো। এর খেসারত দেন বেশ ভালোভাবেই। ইব্রাহিমোভিচ সেই বলটি ধরেই এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজের ৩৫ তম গোলটি করে ফেলেন।
৬০ মিনিটে পিএসজিকে ২-১ গোলে এগিয়ে দিলেন আদ্রিয়েন রাবিও। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার কর্নার এডিনসন কাভানির মাথা ছুঁয়ে আসা বল ধরে সিটির জালে পাঠান রাবিও। ৭২ মিনিটে পিএসজিকে হতাশায় ঠেলে ম্যাচে ফেরে সিটি। সানিয়ার ক্রস ঠিকমতো পিএসজির রক্ষণে ঠিকমতো বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে ফার্নান্দিনিয়ো খুব কাছ থেকেই বল পাঠালেন পিএসজির জালে।
ম্যাচ শেষে সিটি কোচ পেলিগ্রিনির কণ্ঠে ঝরেছে আফসোস। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ফার্নান্দিনিয়ো ও জো হার্টের ভুল বোঝাবুঝিতে ইব্রাহিমোভিচের সমতাসূচক গোলটির কথা, ‘এই ধরনের ভুল করলে চ্যাম্পিয়নস লিগের বড় পরিসরে আমাদের টিকে থাকা খুব মুশকিল হয়ে পড়বে।’
ইব্রাহিমোভিচের গোলটি নিয়ে নিজের দলের খেলোয়াড়দের কাঠগড়ায় তুললেও তাঁর দাবি, ‘পিএসজির দ্বিতীয় গোলটি ছিল অফসাইড। এই গোলটির দায় আমি আমার দলের ডিফেন্ডারদের কাঁধে চাপাব না। গোলটি পুরোপুরি লাইনসম্যানের ভুলে হজম করতে হয়েছে আমাদের।’ ওদিকে পিএসজি কোচ লঁরা ব্লার কণ্ঠে সেমিফাইনালে ওঠার প্রত্যয়, ‘ম্যানচেস্টারের মাঠে গিয়ে আমরা প্রমাণ করব, আমরা কেবল নিজেদের মাঠেই নয়, প্রতিপক্ষের মাঠেও গোল করতে পারি।’