Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

5খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৬ : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের সঙ্গে জোটের ধাক্কায় বেসামাল ত্রিপুরার কংগ্রেস। দলের বিভিন্ন পদ ছাড়ার রীতিমতো হিড়িক পড়ে গেছে। প্রদেশ কংগ্রেসের অনেক নেতাই তাঁদের ‘চিরশত্রু’ সিপিএমের সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় নেতাদের দহরম-মহরম মানতে পারছেন না। ফলে আপাতত দলীয় পদ ছাড়লেও ভবিষ্যতে দল ছাড়ারও প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা।
ত্রিপুরায় বড় ধরনের ফাটলের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা সুদীপ বর্মণ পদত্যাগ করেন। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে জানান, ‘সিপিএমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে দলের এই জোট মানতে পারছি না। তাই দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে বিরোধীদলীয় নেতা তথা কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ছাড়িনি। তবে দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’ তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, সদলবলে সুদীপ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন।
রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মণের ছেলে তথা টানা চারবারের বিধায়ক সুদীপের পদত্যাগের পরই কংগ্রেসে ‘বিদ্রোহ’–এর হিড়িক পড়েছে। আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে পদত্যাগপত্র দেন প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি আশিস সাহা, রাজ্য যুব কংগ্রেস প্রধান সুশান্ত চৌধুরীরা। তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতারাও পদত্যাগ করেন।
তবে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে এখনো নীরব ‘বিদ্রোহী’রা। যুব কংগ্রেসের পদত্যাগী সভাপতি সুশান্ত মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। তবে কোনো অবস্থাতেই সিপিএমের সঙ্গে কোনো রকম সমঝোতায় আমরা যাব না।’
একই বক্তব্য প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক সিনহার। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘সিপিএম জনগণের সর্বনাশ করছে। কংগ্রেসকেও শেষ করে দেবে। এটা দলের নেতারা না বুঝলে সেই দল করার মানে হয় না।’
দলের এই সম্ভাব্য ভাঙনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কংগ্রেস আগেই বহুবার ভেঙেছে। নতুন কিছু নয়। পশ্চিমবঙ্গে যা–ই হোক, ত্রিপুরায় আমরা সিপিএমের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলনে নামব।’
ত্রিপুরায় তৃণমূলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা সাবেক চেয়ারম্যান অরুণচন্দ্র ভৌমিক, সুদীপ বর্মণদের দলে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মতে, তাঁদের যোগদানে ত্রিপুরাতেও তৃণমূল শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি তিনি সিপিএম–বিরোধী সবাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলে শামিল হওয়ার ডাক দেন।