খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৬ : রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়েছিল তিনি এইচআইভি পজিটিভ। এই কারণে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের হাতে খুন হলেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক ট্রাকচালক। হত্যার পর তড়িঘড়ি করে দেহটি সৎকারের ব্যবস্থাও করা হয়।
২০১৩ সালে আত্তাপাত্তি গ্রামের এক নারীর সঙ্গে বিয়ে হয় খামারিয়া গ্রামের বাসিন্দা যুবকের। বছর দেড়েক পর অসুস্থতার কারণে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস শুরু করেন বছর চল্লিশের ওই ট্রাকচালক। রক্ত পরীক্ষায় তাঁর দেহে এইচআইভি সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেলেও লোকলজ্জার আশঙ্কায় বিষয়টি তিনি গোপন করে যান। পাশাপাশি স্থানীয় এক অ্যান্টি রেট্রো ভাইরাল থেরাপি সেন্টারে তিনি চিকিৎসা চালিয়ে যান।
গত বুধবার শ্বশুরবাড়িতে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। উপরন্তু পুলিশকে না জানিয়ে মৃতের বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। দেহটি জলদি সৎকার করার বন্দোবস্তও শুরু হয়।
বিকেলে আত্তাপাত্তি পৌঁছে যুবকের মৃতদেহ দেখতে পান তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁরা মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও আবিষ্কার করেন। এরপরই স্থানীয় থানায় তাঁরা খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃতের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ভোজিপুরা থানার ইনস্পেক্টর জে পি যাদব জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারের বিবৃতিতে বোঝা গিয়েছে কোনও এইডস রোগীকে বাড়িতে ঠাঁই দেওয়ার জেরে সমাজে কোণঠাসা হওয়ার আশঙ্কায় তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের তীব্র আপত্তি ছিল। মনে হয় এই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। ওই মহিলা ও তাঁর বাবা এবং আরও দুজনের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।