খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০১৬: একই মায়ের গর্ভে জন্ম না নিয়েও অনেক সময় অবিকল একইরকম দেখতে মানুষ পাওয়া যায়। কথাটা শুনতেই একটু অবাক লাগলেও আসলে সেটাই হয়ে থাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামারই তো যমজ পাওয়া গেছে। তবে কেনো এরকম হয়? এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। সম্প্রতি তারা এ ঘটনার নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন।
সিগমন্ড ফ্রয়েড তার যুগান্তকারী প্রবন্ধ ‘দ্য আনক্যানি’-তে যমজত্বের ঘটনাটকে ব্যাখ্যা করেছিলেন মনস্তত্ত্বের বিন্দু থেকে। তার মতে, ‘নিজের অবিকল প্রতিরূপ এক আতঙ্কের উৎস। এবং তা মনোবিকারের ফলেই জাত।’
ফ্রয়েড যা-ই বলে থাকুন, সাম্প্রতিক গবেষণা কিন্তু একেবারেই উল্টো পথে হাঁটতে চাইছে। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোবায়োলজির গবেষক মাইকেল শিহান তার এক গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, ‘নিঃসম্পর্কিত দুটি মানুষের অবিকল এক চেহারার অধিকারী হওয়ার পিছনে কোনো প্যারানর্মাল বিষয় কাজ করে না।
কেবল চেহারার সাদৃশ্য নয়, নিঃসম্পর্ক যমজত্ব এত দূর গড়াতে পারে যে, এই হামশকলরা আচারে-আচরণেও পরস্পরের প্রতিরূপ হতে পারেন। এমনকী, কোনো তাসের ডেক থেকে তাদের তাস বাছতে বলা হলে, তারা একই তাস তুলে নেন।’
কী রয়েছে এই ‘লুক-অ্যালাইক’ রহস্যের পিছনে? শিহানের বক্তব্য, বংশগতির একটা খেলা এখানে অবশ্যই কাজ করছে। দুই ভিন্ন দেশে, ভিন্ন কালেও এই যমজ দেখা গেছে। এর কারণ সুদূর অতীতে ঘটে যাওয়া গ্লোবাল মাইগ্রেশন, একই বংশবীজ দুই ভিন্ন ভূগোলে ভিন্ন এথনিসিটির মধ্যে বেড়ে ওঠা।
সুতরাং, যদি কোথাও কখনও অবিকল নিজের মতো দেখতে কারো দেখা পান তাহলে জানবেন, তিনি কোনো না কোনো সূত্রে আপনার আত্মীয়। নিকট না হলেও নিকটজন।