Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০১৬:  কলেজছাত্রী তনুর ভাইয়ের বন্ধু মিজানুর রহমান সোহাগ ১৫ দিন পর বাসায় ফিরেছেন, যাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পরিবার।
সোহাগের বাবা নুরুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে বলেন, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তিনি হাঁটতে বেরিয়ে বাড়ির কাছে কুমিল্লা সেনানিবাস সংলগ্ন নাজিরাবাজার এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি তার ছেলেকে বাড়ির দিকে আসতে দেখেন এবং বাসায় নিয়ে আসেন।
“সোহাগ এতো দিন কোথায় ছিল, কীভাবে বাড়ির কাছে এলো- এসব নিয়ে কিছু বলতে পারেনি।”
তবে ছেলেকে খুব বির্মষ ও ফ্যাকাসে দেখাচ্ছিল বলে জানান নুরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে ফোন করলে বুড়িচং থানার ওসি উত্তম কুমার বলেন, “সোহাগের বাড়ি ফেরার বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। তার পরিবার আমাদের জানায়নি।”
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনায় সারা দেশে প্রতিবাদের মধ্যেই ২৭ মার্চ সোহাগকে ধরে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন তার বাবা নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেছিলেন, সেদিন রাত দেড়টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাধারণ পোশাকের আটজন তাদের বাড়িতে ঢোকে। প্রথমেই তারা তার মেয়ের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। পরে সোহাগের দুটি মোবাইল নিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে সাদা একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দেওয়ায় পরিচয়পত্র দেখতে চাইলেও তারা তা দেখায়নি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন সোহাগের মা শাহিদা বেগম।
তবে র্যা ব বা পুলিশ কেউই সোহাগ নামে কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা আটকের কথা স্বীকার করেনি। ছেলের খোঁজ না পেয়ে ৩০ মার্চ বুড়িচং থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নুরুল ইসলাম।
সোহাগের বোন খালেদা আক্তার সে সময় বলেছিলেন, তনু হত্যার খবর টিভিতে দেখে তার ভাই আনোয়ারকে ফোন দিয়েছিলেন সোহাগ। কিন্তু আনোয়ারের ফোন বন্ধ পান।
সোহাগের চাচা আব্দুল বাতেন জানিয়েছিলেন, কলেজে পড়ার সময় তনুর ভাই আনোয়ারের সঙ্গে সোহাগের বন্ধুত্ব হয়। ২০ বছর বয়সী সোহাগ উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায় আছেন।
কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় তনুদের বাসার কয়েকশ গজের মধ্যে তার লাশ পাওয়া গিয়েছিল। এই তরুণীকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করছিল পুলিশ।
কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।