Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

42খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০১৬: অর্থমন্ত্রীর পর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।“তাদের (বিশ্ব ব্যাংক) নানা জন নানা সময় নানান মত দেয়। সংস্থাটির প্রতিবেদন নিজেরাই বিশ্বাস করে না। এমনকি সারাবিশ্বের কেউ বিশ্বাস করে কি না, আমার জানা নেই।”
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মুস্তফা কামাল।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ। তা অর্জনে সরকার আশাবাদী হলেও বিশ্ব ব্যাংক তাদের সংশয়ের কথা জানিয়ে আসছে।
এর আগের অর্থবছরগুলোতেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের আভাস না ফলার তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “গ্লোবাল প্রসপেকটাস ২০১৫ প্রতিবেদনে বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। পরে আবার কমিয়ে এখন বলছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
“এভাবেই তারা একেক সময় একেক ধরনের প্রাক্কলন করে। যা আসলে ঠিক হয় না।”
বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের প্রাক্কলন নিয়ে প্রশ্ন তুলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি বলেছিলেন, এই সংস্থা দুটি বাংলাদেশকে ‘বোঝে না’।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “আমাদের কৃষি শিল্প ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট ভালো। বিশ্ব ব্যাংক যাই বলুক না কেন, এ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে হবেই।”
৮ প্রকল্প অনুমোদন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় একনেক সভায় ৩ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ের আটটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এ ব্যয়ের মধ্যে এক হাজার ৫৭১ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে, এক হাজার ৯১৪ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা থেকে এবং বাকি প্রায় ৯৯ কোটি টাকা সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ‘ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম- ২য় পর্য়ায় (এনএটিপি-২)’ এর ব্যয় এক হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা।
‘মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প। এর ব্যয় প্রায় ৩৪৫ কোটি টাকা। ৬৬ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে ‘প্রাণী সম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণা স্থাপন’ প্রকল্প।
৮০০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতায় ৭০ হাজার ওভারলোডেড বিতরণ ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন’ প্রকল্প।
অনুমোদন পেয়েছে ‘জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন’ প্রকল্প’ যার ব্যয় ৩০২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প, যার ব্যয় ৮৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
৪৭ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে ‘সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্প।
‘গাইবান্ধা-ফুলছড়ি-ভরতখালী-সাঘাটা সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (জেড-৫৫৫২)’ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যার ব্যয় ৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।