Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

24খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৬: সাংবাদিক হিসেবে শফিক রেহমানের বাসায় গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকতেই পারে। এমন আলোচনার জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিয়ষক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়।
শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কোনো সাংবাদিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিলে, সেক্ষেত্রে সেটাও অপরাধ। এতে তার সাজা হতে পারে।
জয় লিখেছেন, বিএনপি এবং আমাদের ‘সুশীল সমাজ’ এর একটি অংশ শফিক রেহমানের সাফাই গাইতে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই, আমি এ বিষয়ে কিছু নিরেট বাস্তবতা তুলে ধরছি:
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী, অভিযুক্ত এফবি আই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক টেক্সট ম্যাসেজে লিখেছে যে রিজভী আহমেদ সিজার আমাকে দঅফদ করতে চায়। মেরে ফেলার অর্থে স্ল্যাং হিসাবে আমেরিকায় এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়। তাই, আহমেদ তার ষড়যন্ত্রের সহযোগীকে বলেছে, সে আমাকে হত্যা করতে চায়, আর সেটা সে গ্রেফতার হওয়ার অনেক আগেই। যোগ করেন জয়।
প্রধানমন্ত্রী পুত্র আরো বলেন, গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে জেরার দায়িত্বে থাকা এজেন্টদেরও সে একই কথা জানিয়েছে। ট্রায়ালের মাধ্যমে আহমেদ দোষী সাব্যস্ত হয়নি। সে অপেক্ষাকৃত লঘু অপরাধে দোষী বলে নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছে, যা গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীরা মামলা হেরে যাওয়া ও দীর্ঘ কারাবাস এড়াতে করে থাকে। হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার দীর্ঘ সময় জেল খাটার সম্ভাবনা থাকলেও সেই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সে কারাবাসের মেয়াদ কমিয়েছে।
লাস্টিকের সঙ্গে শফিক রেহমানের সরাসরি যোগাযোগ ছিলো। যদি তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কোনো সাংবাদিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেয়, সেক্ষেত্রে সেটা অপরাধ। এটা যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি অপরাধ। তাই যুক্তরাষ্ট্রেও শফিক রেহমানের বিচার হতে পারে।
সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, সবশেষে জানাতে চাই, শফিক রেহমান মার্কিন নাগরিক না হয়েও ঘুষের মাধ্যমে এফবি আই এর গোপন নথি কিনেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এটা গুপ্তচরবৃত্তি এবং এর শাস্তি কোনো দুর্ভেদ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলে আজীবন কারাবাস।