খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৬: পোশাক কারখানা সংস্কার ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ নেতৃত্ব পর্যায়ে আছে। বাংলাদেশ এটা ধরে রাখতে পারবে ও প্রতিযোগিতায় সক্ষম থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট।
শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সস্তা শ্রমের কারণেই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প টিকে আছে, এ ধারনার সঙ্গে দ্বিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
কারখানা পরিদর্শনে আসা ক্রেতাদের দুটি সংগঠন অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স বাংলাদেশে কতদিন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে, এ বিতর্কে নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্সের অবদান প্রথম দিকে বোঝা না গেলেও এখন এটার ফল পাওয়া যাচ্ছে। কারণ তারা গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করেছে।’
মার্কির রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘এ দেশে অনেক ভালো পোশাক কারখানা আছে। কিন্তু কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ সেই দুর্ঘটনার কথাই বলবে। ভালো পোশাক কারখানার কথা বলবে না। তাই অনিরাপদ একটি পোশাক কারখানাও দেশের পোশাক খাতের জন্য ঝুঁকি। পোশাক কারখানার সার্বিক মান নিশ্চিত করলে উৎপাদন বাড়ে। এটা ব্যবসায়িক দিক দিয়েও লাভজনক এবং তা পরিসংখ্যানগতভাবে প্রমাণিত।’
‘অন রি-ইমার্জিং ফ্রম দ্য রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : অ্যান অ্যাকাউন্ট অন দ্য থার্ড অ্যান্নিভার্সারি’শীর্ষক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাডিশনাল রিসার্চ ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, শ্রম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. ইসরাফিল আলম, শ্রম সচিব মিকাইল শিপার, ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রেড্ডি, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ও বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ফারুক হাসানসহ যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, স্পেন, সুইডেন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত, হেড অব ইউএন ওম্যান, ডেনমার্ক, আইএলও, অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘শুধু সরকার বা প্রশাসন বা কারখানা মালিক- কেউই একা সব ব্যবস্থা নিতে পারে না। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকার, সিভিল সোসাইটি, স্টেকহোল্ডার, শ্রমজীবী, বায়ার- কারো এ গন্ডির বাইরে থাকার সুযোগ নেই।’