খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৬:ডান্স বারের অনুমোদন না দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হলো ভারতের মহারাষ্ট্র সরকারকে। শীর্ষ আদালত বার ডান্সের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দিয়েছিল গত বছর অক্টোবরে। তার পরও বিধানসভায় নতুন আইন পাস করিয়ে ডান্স বারকে কার্যত নিষেধাজ্ঞার আওতাতেই রেখে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে আজ মহারাষ্ট্র সরকারকে রীতিমতো কড়া সুরে সতর্ক করল আদালত। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট কথা, ‘নাচ একটা পেশা। এটা অশ্লীল হলে তবেই আইনি বৈধতা হারায়।ৃ রাস্তায় ভিক্ষা করে খাওয়ার থেকে বা অন্য কোনও অনভিপ্রেত কাজের তুলনায় বারে নাচা নারীদের পক্ষে ভাল’।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ডান্স বারের অনুমতি না দেওয়া নিয়েও সুপ্রিম কোর্টের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দেশটির মহারাষ্ট্র সরকারকে। গত ১২ এপ্রিল মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ডান্স বার নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন পাশ হয়। এই আইন অনুযায়ী, বারে কোনও মহিলা কর্মীর হেনস্থা হলে, বা কোনও ধরনের অশ্লীলতা ঘটলে তার পুরো দায় নিতে হবে মালিককে। এ সব ক্ষেত্রে মালিকের পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার শাস্তিও ধার্য হয়েছে।
নতুন আইনে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ডান্স বারের লাইসেন্স পাওয়া যাবে না। বারে নাচের প্রদর্শন চলতে পারবে সন্ধে ছ’টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এমনকী বারের যে অংশে নাচের প্রদর্শন হবে, সেখানে মদ পরিবেশনও করা যাবে না। কোনও আবাসনে দেওয়া হবে না বার খোলার অনুমতি। সেমি- রেসিডেন্সিয়াল ক্ষেত্রেও তিন চতুর্থাংশ আবাসিকের অনুমতি পেলে তবেই দেওয়া হবে লাইসেন্স।
বার মালিকদের অভিযোগ, এই আইন করে কার্যত নিষেধাজ্ঞাই জারি করে রাখা হলো ডান্স বারের ওপর। তা ছাড়া বারে বসে কেউ কোনও বে আইনি বা অশ্লীল কাজ করলে তার শাস্তি কেন মালিকপক্ষকেও পেতে হবে সেই প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু বার বিরোধীরা এতেও খুশি হননি। ডান্স বারে পরিপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। এই মামলারই শুনানি ছিল আজ। সেই শুনানিতেই কড়া মনোভাব প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ সত্বেও কেন ডান্স বারের লাইসেন্স আটকানো হচ্ছে, সাত দিনের মধ্যে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে তারও জবাব চাওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত কড়াকড়ি নিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারেরও।