খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৬: রাবি শিক্ষক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকা-ের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে বাগমারায় অভিযান চালিয়ে নিহত শিক্ষকের নিজ গ্রামের দরগামাড়িয়া জামে মসজিদের ইমাম রায়হান আলী (৩২) ও গোপালপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মুনসুর রহমানকে (৪৮) আটক করেছে পুলিশ।
এদের মধ্যে রায়হানের বাড়ি উপজেলার তালঘরিয়া ও মুনসুরের বাড়ি খাজাপাড়া গ্রামে।
আটকের বিষয়টি রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন নিশ্চিত করেন। আটকের পর তাদের রাজশাহী নগরীতে আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এসব তথ্য তদন্তের স্বার্থে গণমাধ্যমকর্মীদের জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
পুলিশ কমিশনার বলেন, অধ্যাপক রেজাউল কমির সিদ্দিকী তার নিজ গ্রামে একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু তার গ্রামের মসজিদের ইমাম রায়হান আলী গান-বাজনা পছন্দ করতেন না। তিনি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মসজিদের ইমাম রায়হান ও মাদ্রাসা শিক্ষক মুনসুরকে আটক করা হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডে ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত আরেকজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান। হত্যার দিন গত শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে হাফিজুরকে নগরীর শালবাগানস্থ নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের ক্লু এবং তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজশাহী মহানগর ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত শিক্ষকের পরিবারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু আমরা সেখান থেকে তেমন কোনো তথা পাই নি। বেশকিছু বিষয়কে সামনে রেখে গুরুত্বের সঙ্গেই তদন্ত চলছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তরা শিক্ষক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে।