খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৬: বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার টসটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের ম্যাচে।
কিন্তু হায়দরাবাদের ডেভিড ওয়ার্নারের মন্দভাগ্য, তিনি এদিন টস হেরে বসেন। ধোনি টস জিতে চোখ বন্ধ করে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। ভেজা মাঠের সুবিধাটুকু পুরোপুরি কাজে লাগান অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ধোনি।
ফলে ব্যাট করতে নেমে ৩২ রানে নেই হায়দরাবাদের ৫ উইকেট! ওয়ার্নার, ইয়ান মরগান এদিন ডাক মারেন। তারপরও শিখর ধাওয়ানের অনবদ্য ৫৬ রানের ইনিংসে ভর করে ১১৮ রানের পুঁজি পায় হায়দরাবাদ।
টি-টোয়েন্টিতে এই রান কিছু নয়। তারপরও শুরুতেই উইকেট নিয়ে রাইজিং পুনেকে ভড়কে দিয়েছিল হায়দরাবাদ। ভুবনেশ্বর কুমার ও আশিষ নেহেরার পর ডেভিড ওয়ার্নার বল তুলে দেন আস্থার প্রতীক মুস্তাফিজের হাতে।
৩.১ ওভার : প্রথম বলটি ঠিকমতো খেলতে পারেননি ফাপ ডু প্লেসিস। লেগবাই সূত্রে একটি রান আসে।
৩.২ ওভার : এই বলে স্টিভেন স্মিথ কোনো রান নিতে পারেননি। ডট বল।
৩.৩ ওভার : বলটি ওয়াইড হয়।
৩.৩ ওভার : এই বলটি অফ কাটার দেন। স্মিথ কোনো রান নিতে পারেননি। ডট বল।
৩.৪ ওভার : এবার ৪ হাঁকান স্মিথ। মিডঅনে নেহেরা বলে হাত লাগাতে পারলেও রুখতে পারেননি।
৩.৫ ওভার : এবারও বাউন্ডারি হাঁকান স্মিথ। বলটি অবশ্য কাটার ছিল।
৩.৬ ওভার : শেষ বলে ১ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন স্মিথ।
নেহেরার এক ওভার পর পঞ্চম ওভারে আবারো বল হাতে স্মিথ-ডু প্লেসিসের সামনে দাঁড়ান মুস্তাফিজ।
৫.১ ওভার : স্মিথ কোনো রান নিতে পারেননি। ডট বল।
৫.২ ওভার : এই বলেও কোনো রান নিতে পারেননি। বলটি তিনি বুঝতেই পারেননি।
৫.৩ ওভার : হেলিকপ্টার শটে বলটি ৪ এর জন্য মাঠছাড়া করেন স্মিথ।
৫.৪ ওভার : ওয়াইড বল।
৫.৪ ওভার : আবারো ৪ হাঁকান স্মিথ। বলটি স্লোয়ার দিয়েছিলেন মুস্তাফিজ।
৫.৫ ওভার : ফ্লিক করে ডিপ মিড উইকেটে ফেলে দিয়ে এই বলে ২ রান নেন স্টিভেন স্মিথ।
৫.৬ ওভার : শেষ বলটি ডট দেন কাটার মাস্টার।
এরপর অবশ্য আর বল করার সুযোগ পাননি মুস্তাফিজ। কারণ, বৃষ্টি আইনে ১১ ওভারেই ৩৪ রানে জিতে যায় ধোনির দল।
দুই ওভারের ১২ বলের মধ্যে ৬টি বল ডট দেন মুস্তাফিজ। তারপরও ২১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন তিনি।