খোলা বাজার২৪, রোববার, ১ মে, ২০১৬: ভারতের রাজধানী দিল্লির রাস্তায় আজ রোববার থেকে আর চলবে না কোনো ডিজেলচালিত ট্যাক্সি। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।
আদালতের এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৭ হাজার ডিজেলচালিত ট্যাক্সির দিল্লির রাজপথে চলাচল নিষিদ্ধ হয়ে গেল। আর এতে সাধারণ মানুষ বেশ দুর্ভোগে পড়লেও আইন মেনে নিতে হচ্ছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ডিজেলচালিত ট্যাক্সিগুলোকে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) পরিবর্তন করতে গতকাল শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত দুই মাসে মাত্র দুই হাজার ট্যাক্সি সিএনজিতে রূপান্তর করা হয়। বেঁধে দেওয়া সময় বাড়ানোর জন্য ট্যাক্সি চালক-মালিকরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করেন। তবে সর্বোচ্চ আদালত সে আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৩১ মার্চ বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি আর ভানুমতির দ্বৈত বেঞ্চ ডিজেল থেকে সিএনজিতে রূপান্তরের জন্য ট্যাক্সিক্যাবগুলো ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এই সময় বাড়ানোর জন্য এক আবেদন গতকাল শনিবার প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে খারিজ হয়ে যায়।
আদালত রায়ে বলেন, ‘আমাদের পক্ষে সময় বাড়ানো সম্ভব নয়। কোনো কিছুর বিনিময়েই এ সময় আর বাড়ানো হবে না। রূপান্তর করার প্রক্রিয়া এখন খুবই সহজলভ্য, আপনারা রূপান্তর করিয়ে নিন।’
আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা শুধু দিল্লিতে চলাচলকারী ট্যাক্সিগুলোর ওপর বহাল থাকবে। পুরো ভারতে চলাচল করার অনুমতিসম্পন্ন ট্যাক্সিগুলো আপাতত এই নিয়মের আওতায় আসবে না।
আজ থেকেই দিল্লির রাস্তায় চলাচলকারী ডিজেলচালিত ট্যাক্সিগুলো আটক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী গোপাল রাই। এ জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অবস্থান করবেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। যেখানেই ডিজেলচালিত ট্যাক্সি পাওয়া যাবে, সেগুলো আটক করা হবে।
এদিকে হঠাৎ করে সড়ক থেকে ২৭ হাজার ট্যাক্সি উঠিয়ে নেওয়া হলে বিপদে পড়বেন নগরবাসী। কারণ, এসব ট্যাক্সিতে করেই রোজ দিল্লি থেকে নয়ডা, গুরগাঁও বা গাজিয়াবাদে নিজেদের কর্মস্থলে যান হাজারো মানুষ।