খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২ মে ২০১৬: রাজধানীর কাওরান বাজারে হাসিনা মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত দোকান ভস্মীভূত হয়ে গেছে । এ ঘটনায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, হাসিনা মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা চাইলে নতুন তিনটি মার্কেটে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। তিনটি মার্কেট প্রস্তুত রয়েছে। পুড়ে যাওয়া মার্কেটে যেমন বৈধ দোকান আছে, তেমনি অবৈধ দোকানও আছে। কেউ বৈধ, কেউ অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছিল। অবৈধদের সংখ্যাই বেশি। তারা যেহেতু অনেক দিন ধরে ব্যবসা করে আসছিল তাই তাদের উচ্ছেদ করা হয়নি। আমরা ইচ্ছা করলে আগেই তাদের সরিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডে অনেক ব্যবসায়ীর ক্ষতি হয়েছে। আমরা তাদের পুনর্বাসন করতে আগ্রহী। তারা চাইলে সম্ভব। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মার্কেটটির পুরো নাম উত্তর কাওরান বাজার ব্যবসায়ী জনকল্যাণ সমিতি মার্কেট। তবে স্থানীয়রা এটিকে হাসিনা মার্কেট নামেই চেনেন। রবিবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। টিনশেড দোতলা হাসিনা মার্কেটের একটি বড় অংশ আদা, রসুন, পেঁয়াজ, সিগারেট, মরিচের পাইকারি দোকান ও গোডাউন। এ ছাড়া উত্তর অংশে হলুদ-মরিচ গুঁড়া করার মিল রয়েছে। পাশপাশি লেপ তোষকের দোকান ও গোডাউন এবং খাবার দোকানও রয়েছে সেখানে।
ওই মার্কেটের দোকানদার মহিম দাবি করেন, মার্কেটের প্রতিটি দোকানেই কোটি কোটি টাকার মালামাল ও নগদ টাকা ছিল। নগদ টাকা ছাড়াও তার দোকানেই ২০ কোটি টাকার মালামাল ছিল। এভাবে হিসেব করলে কয়েক হাজার টাকার মালামাল পুরো মার্কেটে পুরে ছাই হয়ে গেছে। বিশেষ করে মার্কেটের গোডাউনগুলোর একেকটিতে কয়েক কোটি টাকার মালামাল ছিল।
মার্কেটের ৬৩ নম্বর দোকানের মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, তার দোকানে ১০ লাখ টাকার মালামাল ও প্রচুর নগদ টাকা ছিল।
মা স্টোরের মালিক দেলওয়ার হোসেন বলেন, তার দোকানে আড়াই লাখ টাকার মাল ও নগদ দেড় লাখ টাকা ছিল।
উত্তর কাওরান বাজার ব্যবসায়ী জনকল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি ঈসমাইল হোসেন জানান, এ মার্কেটে ১৮১টি দোকান রয়েছে। সব দোকানই পুড়ে গেছে। পাইকারি খুচরা পণ্যের বাজার হওয়ায় এখানে প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।
রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৬টি ইউনিট কাজ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও রাত ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়।