খােলা বাজার২৪,শুক্রবার, ২৯ এপ্রলি ২০১৬: পিরোজপুর ঝালকাঠি মহাসড়কের কচাঁ নদীর উপর অষ্টম চীন মৈত্রী বেকুটিয়া সেতু অনত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে আজ বেকুটিয়া সেতু বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব এর সামনে সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত এক মানব বন্ধন কর্ম সূচি সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক আহসান হাবিব মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, মেজর অবসর ব্যারিষ্টার সরোয়ার হোসেন সংগ্রাম কমিটি সদস্য সচিব এইচ এম দ্বীন মোহাম্মাদ, কাউখালী কলেজের সাবেক ভিপি সাফিউল আজম দুলাল, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ-পরিচালক ফকির নাসির উদ্দিন পিরোজপুর উন্নয়ন ফোরামের সদস্য সচিব মাইনুল হাসান মুন্না ঢাকাস্থ কাউখালী উপজেলা যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাইফুর রহমান সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আরিফুল হক সাইদুজ্জামান মাসুদ, সফিকুল ইসলাম রুবেল, বাগেরহাট জেলার পক্ষ থেকে শরিফ লিটু ভান্ডারিয়া উপজেলার পক্ষে বিশিষ্ট্য ব্যাবসায়ী জাকির হোসেন প্রমুখ বক্তারা তাদের বক্তাবে বলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ২০১১ সনে ২২ এ ফেব্রুয়ারী বরিশালের জনসভায় পিরোজপুর এর বেকুটিয়া নামের স্থানে কচাঁ নদীর উপর সেতু নির্মান এর প্রতিশ্রুতি দেন সেই পরিপ্রেক্ষিতে সেতু বিভাগ হতে সেতু নির্মান এর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সেতু বিভাগ নিজস্ব অর্থায়নে Feasibility study পরিচালনা করেন।সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার এবং সেতু কর্তৃপক্ষ হতে পিরোজপুর ঝালকাঠি সড়কের কচা নদীর উপর বেকুটিয়া সেতু নির্মাণ নামে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়। পরর্বতীতে হঠাৎ করে সেতু নির্মান এর দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বেকুটিয়া ফেরীঘাটের পরিবর্তে অন্যত্র সেতু নির্মানের পায়তারা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যত্র সেতু নির্মান করা হলে সেতুসহ সংযোগ সড়কের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রাহণের প্রয়োজন হবে । ফলে অনেকেই তাদের কৃষি এবং বাসস্থানের জমি হারাবে। এতে অনেকেই ফকির হয়ে যাবে। তাছাড়া প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পাবে । তাছাড়া পূর্বের অবস্থানের জমি অব্যবহৃত থেকে যাবে। অথচ বেকুটিয়া ফেরিঘাটে সেতু নির্মাণ করা হলে নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া নদীর উভয় পাড় stable হওয়ার তেমন নদীশাসনকাজের প্রয়োজন হবে না। এর ফলে প্রকল্প ব্যয় কম হবে ।