খোলা বাজার২৪,শনিবার, ৭ মে ২০১৬: চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, কুমিল্লা ও নরসিংদীতে ৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারার সিদ্দিকুর রহমান (৩০) ও জাহিদুল ইসলাম বুলু, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মাহাবুব হোসেন পল্টু, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগরের সুমন হোসেন ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউনিয়নের তাপস চন্দ্র দাস।
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের কালডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে মাহাবুব হোসেন পল্টু (৩২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
পল্টু ঝিগরগাছা গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। গুলি বিদ্ধ ২জনসহ আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮জন। আহতরা হলেন- পুলিশের পরিদর্শক মোসলেম উদ্দিন(৪৫), শহিদুল ইসলাম (৩৫), ওসমান আলী(৩২), রব্বানী(৩৫), নাজিম উদ্দিন(৫৫), শাকিলা (১৪), রহিমুল (৩৮)। এদের মধ্যে নাজিম উদ্দিনের আবস্থা আশংকা জনক। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর এক সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর রংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার জেরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রিয়াজ মোর্শেদ খান রাসেল ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আযান চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক সুমন হোসেন নামে এক যুবককে কিরিস দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
ওদিকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তাপস চন্দ্র দাস (৩৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, শনিবার সাড়ে ১০টার দিকে ওই ইউনিয়নের উত্তর চান্দলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে মেম্বার প্রার্থী সুলতান ও রেজাউলের কর্মী সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কুপিয়ে রেজাউলের সমর্থক তাপসকে হত্যা করা হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মুঠো ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি এস.এম বদিউজ্জামান জানান, কেন্দ্রের বাইরে দুই মেম্বার প্রার্থীর মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহত তাপস চান্দলা গ্রামের কানু চন্দ্র দাসের পুত্র।
রাজশাহীর বাগমারার আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।
নিহতরা হলেন- সিদ্দিকুর রহমান (৩০) ও জাহিদুল ইসলাম বুলু।
স্থানীয় হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাসুদ আলী জানান, পুলিশের গুলিতে মারা গেছে, এটা সত্য। তবে কতজন মারা গেছে তা তিনি বলেননি। তিনি দাবি করেন, পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সন্ধ্যা ছয়টায় তার লাশ ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকতে দেখা যায়।