Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

19খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৯ মে ২০১৬: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিয়ে মন্তব্য করায় ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে আজ সোমবার দুপুরে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মো. মিজানুর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানাবেন। ইতিমধ্যে সুজা আলম মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে পাকিস্তানকে বারবার নিষেধ করে আসছে বাংলাদেশ। এরপরও এ বিষয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে সম্পর্কের তিক্ততা বাড়াচ্ছে পাকিস্তান। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশকে ঘিরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ রাখার পাশাপাশি ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অপব্যাখ্যা বন্ধ করতে বলছে ঢাকা।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দণ্ডকে ঘিরে ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ছয়বার বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে এবং জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে প্রস্তাব এনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। গত বছরের নভেম্বরে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো বিবৃতি দেয়। নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশকে ঘিরে গত শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবার বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানাল।
পাকিস্তানের এমন অবস্থানের প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনারকে বারবার তলব করে বাংলাদেশ এসব বক্তৃতা-বিবৃতি বন্ধ করার কথা বললেও তা কানে তুলছে না পাকিস্তান। বরং ঢাকায় পাকিস্তানের কূটনীতিককে তলব করার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইসলামাবাদে বাংলাদেশের কূটনীতিককে তলব করা হচ্ছে। এমন এক পরিস্থিতিতে সম্পর্কে টানাপোড়েন বেড়েই চলেছে।
শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ডের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগ ও তীব্র মনঃকষ্টের মধ্য দিয়ে লক্ষ করছি। ১৯৭১ সালের ঘটনাবলি নিয়ে বাংলাদেশের বিতর্কিত বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়াও লক্ষ করে যাচ্ছি। ১৯৭৪ সালের এপ্রিলের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির চেতনা অনুযায়ী ১৯৭১-এর ঘটনাবলির ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎমুখী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশে একটি চূড়ান্ত মীমাংসার প্রয়োজনীয়তা আছে।