খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১১ মে ২০১৬: জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসি দেওয়ায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানি সরকার। আজ বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘তাঁর (নিজামী) একমাত্র অপরাধ ছিল তিনি পাকিস্তানের সংবিধান ও আইন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের আগের ‘কথিত অপরাধে’ মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
বিরোধী দলকে দমনের উদ্দেশে ত্রুটিপূর্ণ বিচারের মাধ্যমে বিরোধী নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে; যা গণতন্ত্রের পুরোপুরি পরিপন্থী। বাংলাদেশের যেসব জনগণ মতিউর রহমান নিজামীকে সংসদ প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিলেন তাঁদের জন্যও তাঁর ফাঁসি কার্যকর করাটা দুর্ভাগ্যজনক।
এতে বলা হয়েছে, বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, মানবাধিকার সংস্থা, আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ বিচারের কার্যক্রম বিশেষ করে এর নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের আইনজীবী ও সাক্ষীদের নানাভাবে হয়রানির খবরের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আপত্তি জানিয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অংশ হিসেবে ক্ষমাশীলতার পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে না নিতে রাজি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে সেই অঙ্গীকার সমুন্নত রাখা উচিত।
পাকিস্তান নিজামীর পরিবার ও তাঁর সমর্থকদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাবনার সাঁথিয়ায় গণহত্যা, ধর্ষণ ও বুদ্ধিজীবী হত্যার অপরাধ প্রমাণিত।